অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্য দায়ী বায়ু দূষণ

  • Update Time : ১১:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
  • / 134

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্য দায়ী বায়ু দূষণ। জৈব জ্বালানি পোড়ানোয় বায়ুতে মিশছে বিষাক্ত গ্যাস। বায়ু দূষণে শীর্ষ শহরের তালিকায় বারবার উঠে আসছে ঢাকার নাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারের প্রসারে পারে বায়ু দূষণে মুক্তির উপায়।

মানুষের প্রয়োজনেই সভ্যতার বিকাশ। অর্থনীতি আর সমৃদ্ধির পথে হাঁটতে গিয়ে প্রকৃতি বিনাশী ঘটছে কর্মকাণ্ড। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে অনেকটা যত্রতত্রভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে শিল্প, কল-কারখানা।

আর এসব উন্নয়নের জন্য সবচে বড় ভূমিকা পালন করছে জ্বালানি শক্তি। বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানি হয়ে উঠেছে শক্তি উৎপাদনের প্রধান মাধ্যম। তবে জৈবজ্বালানির মাত্রারিক্ত ব্যবহারে সভ্যতা এখন হুমকির মুখে। KSRM

দিন দিন বিশাক্ত হয়ে উঠছে বাতাস। গবেষণা বলছে, বছরে ৭০ লাখ মানুষ মরছে শুধু বায়ু দূষণের শিকার হয়ে।

সম্প্রতি এক গোলটেবিল বৈঠকে উঠে আসে এসব তথ্য। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমিয়ে নবায়যোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো গেলে সবার জন্য নির্মল বায়ু এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব বলছেন গবেষকরা।

অর্থনৈতিকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার ফলে বর্তমানে জ্বালানি নিরাপত্তা কিছুটা হুমকির মুখে। সৌর ও বায়ু শক্তিসহ সব ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

পরিবেশবিদ শরীফ জামিল বলেন, “সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বীকৃত যে এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের দায় যাদেরকে দেয়া যায় তার মধ্যে ৭০ শতাংশ ফুয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের।”

এদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র আকারে এখনি নবায়াণযাগ্য শক্তির ব্যাবহার করা সম্ভব।

অর্থনীতিবিদ ড. আতিউ রহমান বলেন, “আমরা যদি প্রত্যেক কৃষককে একটা করে সোলার প্যানেল দিতে পারতাম তাহলে সে সোলার প্যানেল থেকে যে বিদ্যুৎটা পেতেন সেটা দ্বারা তারা শুধুমাত্র চাষবাস করতেন না তাদের ঘরের বিদ্যুৎও এটা দিয়ে পূরণ করতে পারতেন। সুতরাং এই জায়গাটাতে এখনও কাজ করার সুযোগ আছে।”

সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় নীতিসহায়তা দেয়া হলে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়যোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্য দায়ী বায়ু দূষণ

Update Time : ১১:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্য দায়ী বায়ু দূষণ। জৈব জ্বালানি পোড়ানোয় বায়ুতে মিশছে বিষাক্ত গ্যাস। বায়ু দূষণে শীর্ষ শহরের তালিকায় বারবার উঠে আসছে ঢাকার নাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারের প্রসারে পারে বায়ু দূষণে মুক্তির উপায়।

মানুষের প্রয়োজনেই সভ্যতার বিকাশ। অর্থনীতি আর সমৃদ্ধির পথে হাঁটতে গিয়ে প্রকৃতি বিনাশী ঘটছে কর্মকাণ্ড। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে অনেকটা যত্রতত্রভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে শিল্প, কল-কারখানা।

আর এসব উন্নয়নের জন্য সবচে বড় ভূমিকা পালন করছে জ্বালানি শক্তি। বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানি হয়ে উঠেছে শক্তি উৎপাদনের প্রধান মাধ্যম। তবে জৈবজ্বালানির মাত্রারিক্ত ব্যবহারে সভ্যতা এখন হুমকির মুখে। KSRM

দিন দিন বিশাক্ত হয়ে উঠছে বাতাস। গবেষণা বলছে, বছরে ৭০ লাখ মানুষ মরছে শুধু বায়ু দূষণের শিকার হয়ে।

সম্প্রতি এক গোলটেবিল বৈঠকে উঠে আসে এসব তথ্য। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমিয়ে নবায়যোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো গেলে সবার জন্য নির্মল বায়ু এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব বলছেন গবেষকরা।

অর্থনৈতিকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার ফলে বর্তমানে জ্বালানি নিরাপত্তা কিছুটা হুমকির মুখে। সৌর ও বায়ু শক্তিসহ সব ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

পরিবেশবিদ শরীফ জামিল বলেন, “সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বীকৃত যে এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের দায় যাদেরকে দেয়া যায় তার মধ্যে ৭০ শতাংশ ফুয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের।”

এদিকে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র আকারে এখনি নবায়াণযাগ্য শক্তির ব্যাবহার করা সম্ভব।

অর্থনীতিবিদ ড. আতিউ রহমান বলেন, “আমরা যদি প্রত্যেক কৃষককে একটা করে সোলার প্যানেল দিতে পারতাম তাহলে সে সোলার প্যানেল থেকে যে বিদ্যুৎটা পেতেন সেটা দ্বারা তারা শুধুমাত্র চাষবাস করতেন না তাদের ঘরের বিদ্যুৎও এটা দিয়ে পূরণ করতে পারতেন। সুতরাং এই জায়গাটাতে এখনও কাজ করার সুযোগ আছে।”

সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় নীতিসহায়তা দেয়া হলে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়যোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।