সৌদির সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে ঈদ শুক্রবার

  • Update Time : ০৯:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩
  • / 180

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের নিয়ম অনুসারে ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাব মতে, বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় দুই শ বছর আগে থেকে এভাবে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং চান্দ্রমাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করছেন।

দরবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে মির্জাখীল দরবার শরিফের খানকাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীন (ক.)–এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীনের (ক.) তত্ত্বাবধানে উনারই জানশীন হজরত ইমামুল আরেফীন মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান সাহেব ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন।

মির্জাখীল দরবার শরিফ সূত্র আরও জানায়, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুণ্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, ছলিমপুর, মহালংকা, কুমিল্লা, চাঁদপুরের মতলব, মিরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার শতাধিক গ্রামে রোজা শেষে শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হবে।

এ ছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরাও শুক্রবারে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।

ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরিফের মুখপাত্র মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী হিসেবে আমাদের নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান এবং চাঁদ দেখার বিবেচনায়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান এবং মক্কা ও মদিনা শরিফে তথা আরব বিশ্বের চাঁদ দেখার খবর বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবো।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সৌদির সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে ঈদ শুক্রবার

Update Time : ০৯:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের নিয়ম অনুসারে ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাব মতে, বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় দুই শ বছর আগে থেকে এভাবে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং চান্দ্রমাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করছেন।

দরবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে মির্জাখীল দরবার শরিফের খানকাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীন (ক.)–এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীনের (ক.) তত্ত্বাবধানে উনারই জানশীন হজরত ইমামুল আরেফীন মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান সাহেব ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন।

মির্জাখীল দরবার শরিফ সূত্র আরও জানায়, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুণ্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, ছলিমপুর, মহালংকা, কুমিল্লা, চাঁদপুরের মতলব, মিরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার শতাধিক গ্রামে রোজা শেষে শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হবে।

এ ছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরাও শুক্রবারে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।

ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরিফের মুখপাত্র মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী হিসেবে আমাদের নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান এবং চাঁদ দেখার বিবেচনায়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান এবং মক্কা ও মদিনা শরিফে তথা আরব বিশ্বের চাঁদ দেখার খবর বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবো।’