কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়: প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ০৪:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / 120

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে। ইসলাম ধর্ম আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবে না।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা যদি বিশ্বাস করি যে এই বিশ্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সৃষ্টি করেছেন, তার হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়েন। তাই এখানে অন্যান্য ধর্মের যা কিছুই আছে সবই আল্লাহরই সৃষ্টি। তিনিই ভালো মন্দের বিচার করেন। কাজেই আমাদের এই ভূ-খণ্ডে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ যারাই বসবাস করেন তাদের সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে যারা যার ধর্ম পালন করার। তাই অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া মোটেও সমীচীন হবে না।

ইমামদের প্রতি সরকার প্রধান অনুরোধ করে বলেন, আমাদের কোমলমতি ছেলেদের অনেকে বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়। সেদিকে যেন তাদের নিয়ে না যায়, তারা যাতে জঙ্গিবাদে না জড়ায় সেদিকে আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রসার, বিশেষ করে ইসলামি শিক্ষা যাতে আরও উন্নতমানের হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা ২০১৩ সালে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস সনদের মাস্টার্স ডিগ্রি সমমানের মর্যাদা আমরা এনে দিয়েছি। কারণ আমরা জানি এই মাদরাসা শিক্ষাকে অনেকে অবহেলার চোখে দেখতো। কিন্তু আমাদের এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম মাদরাসার মাধ্যমেই শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষা প্রচার শুরু হয়। কাজেই আমরা এটিকে গুরুত্ব দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় শিক্ষা নীতিমালাতেও আমরা ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি। এবং ধর্মীয় শিক্ষাকে অর্ন্তভুক্ত করা হচ্ছে। তাছাড়া মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম এটাকেও আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন থেকেই এটা আমরা চালু করি।

তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম যে শান্তির ধর্ম। আর মানুষ খুন করলে যে কখনো বেহেস্তে যাওয়া যায় না। নিরীহ মানুষকে খুন করলে বরং দোজখের আগুনেই পুড়তে হয়। এ বিষয়টি মানুষের মধ্যে সচেতন করতে হবে। আমি চাই মসজিদের ইমাম, খাদেম, আলেম-ওলামাগণ আপনাদেরকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখে, আপনাদের কথার গুরুত্ব রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৪:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে। ইসলাম ধর্ম আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবে না।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা যদি বিশ্বাস করি যে এই বিশ্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সৃষ্টি করেছেন, তার হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়েন। তাই এখানে অন্যান্য ধর্মের যা কিছুই আছে সবই আল্লাহরই সৃষ্টি। তিনিই ভালো মন্দের বিচার করেন। কাজেই আমাদের এই ভূ-খণ্ডে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ যারাই বসবাস করেন তাদের সকলেরই সমান অধিকার রয়েছে যারা যার ধর্ম পালন করার। তাই অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া মোটেও সমীচীন হবে না।

ইমামদের প্রতি সরকার প্রধান অনুরোধ করে বলেন, আমাদের কোমলমতি ছেলেদের অনেকে বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়। সেদিকে যেন তাদের নিয়ে না যায়, তারা যাতে জঙ্গিবাদে না জড়ায় সেদিকে আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রসার, বিশেষ করে ইসলামি শিক্ষা যাতে আরও উন্নতমানের হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা ২০১৩ সালে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি। কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস সনদের মাস্টার্স ডিগ্রি সমমানের মর্যাদা আমরা এনে দিয়েছি। কারণ আমরা জানি এই মাদরাসা শিক্ষাকে অনেকে অবহেলার চোখে দেখতো। কিন্তু আমাদের এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম মাদরাসার মাধ্যমেই শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষা প্রচার শুরু হয়। কাজেই আমরা এটিকে গুরুত্ব দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় শিক্ষা নীতিমালাতেও আমরা ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছি। এবং ধর্মীয় শিক্ষাকে অর্ন্তভুক্ত করা হচ্ছে। তাছাড়া মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম এটাকেও আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন থেকেই এটা আমরা চালু করি।

তিনি বলেন, ইসলাম ধর্ম যে শান্তির ধর্ম। আর মানুষ খুন করলে যে কখনো বেহেস্তে যাওয়া যায় না। নিরীহ মানুষকে খুন করলে বরং দোজখের আগুনেই পুড়তে হয়। এ বিষয়টি মানুষের মধ্যে সচেতন করতে হবে। আমি চাই মসজিদের ইমাম, খাদেম, আলেম-ওলামাগণ আপনাদেরকে সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখে, আপনাদের কথার গুরুত্ব রয়েছে।