নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে চলমান বিশ্ব সংকটে কর্মী ছাঁটাই না করে ব্যবসায় টিকে থাকাতে পারাই বড় সফলতা— এ মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

আজ শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে সবাই অসুবিধায় আছেন। যারা মালিক, যারা কর্মী সবাই সবার বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

সমসাময়িক অর্থনীতির ১০টি বিষয়ে বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৩ সালে ডিসিসিআই’র কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন সামীর সাত্তার।

এ বছর ঢাকা চেম্বার সিএমএসএমই, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, রফতানি বহুমুখীকরণ, বেসরকারি ও বৈদেশিক বিনিয়াগ, আর্থিক খাত, কর ব্যবস্থাপনা, এলডিসি গ্রাজুয়েশন, অর্থনৈতিক কূটনীতি, অবকাঠামো ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রভৃতি বিষয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করবে। বিষয়গুলোর ওপর ডিসিসিআই সভাপতি বিস্তারিত সুপারিশামালাও উপস্থাপন করেন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি কেবলমাত্র একমুখী হওয়া উচিত হবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য হ্রাস পেলে কালক্ষেপন না করে, সে অনুপাতে স্থানীয় বাজারেও যেন জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

বৈশ্বিক মন্দায় স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হওয়ার বিষয়ে বলেন, আমরা এ বৈশ্বিক পরিস্থিতির বাইরে নই, ২০২৩ সালে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিদ্যমান কর্মসংস্থানের সুযোগ ধরে রাখাটাও এক ধরনের সফলতা। প্রতিবছর আমাদের দেশে প্রায় ২০ লাখ তরুণ শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি বাজরে প্রবেশ করে, তবে বিপুল এ জনগোষ্ঠীর জন্য উপযোগী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। এদের অনেকেই হয়ত চাকরি পাবে, তবে অবশিষ্টদের মধ্যে একটি বড় অংশ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে।

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওপর কিছুটা হলেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ এটি পণ্য উৎপাদন ব্যয় বাড়াবে।

রমজানে চাহিদা ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানিতে এলসি খোলার শর্তাবলী সহজীকরণের বিষয়টি বিবেচনার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সামীর সাত্তার। ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি রাতারতি সম্ভব নয়’ করে তিনি বলেন, এজন্য আমাদেরকে রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে প্রণোদনা বৃদ্ধি ও রফতানি আয় বাড়ানোর ওপর আরও বেশি হারে জোরারোপ করতে হবে।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী সহপরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।