২ লাখ টন সার কিনছে সরকার

  • Update Time : ০৮:০০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / 166

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তিন দেশ থেকে দুই লাখ ১০ হাজার টন সার এবং সার উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, আগের লটের চেয়ে সার কেনার খরচ কিছুটা কমেছে।

সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানির জন্য প্রতি টন ৬৭৪ ডলার দরে ৩০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির প্রস্তাব করে বিসিআইসি। এর আগে প্রতি টন কিনতে ৮২০ ডলার খরচ হয়েছে। ফসফরিক অ্যাসিড কিনতে টাকার অংকে মোট খরচ হচ্ছে ২১৫ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৮৮০ টাকা।

বিসিআইসি’র পঞ্চম লটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ফার্টিগ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি টনের দাম পড়ছে ৫৯৪ দশমিক ১৭ ডলার। মোট দাম ১৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। চতুর্থ লটে প্রতি টন ৬২৬ দশমিক ৬৭ ডলার দর ছিল।

সৌদি আরবের সাবিক এগ্রিনিউট্রেন্টের কাছ থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার বিসিআইসির আরেক প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এতে প্রতি টন সারের দাম পড়ছে ৫৯৪ দশমিক ১৭ ডলার যা আগের লটে ছিল ৬২৫ দশমিক ৮৩ ডলার। এ কেনাকাটায় মোট খরচ হচ্ছে ১৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। একই দামে ১৪তম লটেও সাবিক এগ্রি থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

এদিকে বিএডিসির কানাডা থেকে ৫০ হাজার টন এমওপি ও সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে। আগের কেনাকাটায় প্রতি টন এমওপি সারের জন্য ৮২১ ডলার খরচ করতে হলেও এবার দর ৭৮৮ ডলার। মোট খরচ হচ্ছে ৪১৬ কোটি ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কিনতে আগের কেনাকাটায় প্রতিটন ছিল ৮২৬ দশমিক ৫০ ডলার। এবার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৭২৫ দশমিক ২৫ ডলার।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিতরণ লাইন উন্নয়নের অংশ হিসেবে সেখানে সাতটি নতুন ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ, তিনটি উপকেন্দ্র সংস্কার ও দুটি উপকেন্দ্র ৩৩ কেভিতে সল্ফপ্রসারণের প্রস্তাব ছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। বাংলাদেশের আইডিয়াল ইলেক্ট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজকে মোট ১০২ কোটি ৬১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৯ টাকায় ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন, ময়মনসিংহ জোন’ প্রকল্পের জিডি-১ প্যাকেজের পঞ্চম লটের কাজটি দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


২ লাখ টন সার কিনছে সরকার

Update Time : ০৮:০০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তিন দেশ থেকে দুই লাখ ১০ হাজার টন সার এবং সার উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, আগের লটের চেয়ে সার কেনার খরচ কিছুটা কমেছে।

সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানির জন্য প্রতি টন ৬৭৪ ডলার দরে ৩০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির প্রস্তাব করে বিসিআইসি। এর আগে প্রতি টন কিনতে ৮২০ ডলার খরচ হয়েছে। ফসফরিক অ্যাসিড কিনতে টাকার অংকে মোট খরচ হচ্ছে ২১৫ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৮৮০ টাকা।

বিসিআইসি’র পঞ্চম লটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ফার্টিগ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি টনের দাম পড়ছে ৫৯৪ দশমিক ১৭ ডলার। মোট দাম ১৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। চতুর্থ লটে প্রতি টন ৬২৬ দশমিক ৬৭ ডলার দর ছিল।

সৌদি আরবের সাবিক এগ্রিনিউট্রেন্টের কাছ থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার বিসিআইসির আরেক প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এতে প্রতি টন সারের দাম পড়ছে ৫৯৪ দশমিক ১৭ ডলার যা আগের লটে ছিল ৬২৫ দশমিক ৮৩ ডলার। এ কেনাকাটায় মোট খরচ হচ্ছে ১৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। একই দামে ১৪তম লটেও সাবিক এগ্রি থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

এদিকে বিএডিসির কানাডা থেকে ৫০ হাজার টন এমওপি ও সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে। আগের কেনাকাটায় প্রতি টন এমওপি সারের জন্য ৮২১ ডলার খরচ করতে হলেও এবার দর ৭৮৮ ডলার। মোট খরচ হচ্ছে ৪১৬ কোটি ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কিনতে আগের কেনাকাটায় প্রতিটন ছিল ৮২৬ দশমিক ৫০ ডলার। এবার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৭২৫ দশমিক ২৫ ডলার।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিতরণ লাইন উন্নয়নের অংশ হিসেবে সেখানে সাতটি নতুন ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ, তিনটি উপকেন্দ্র সংস্কার ও দুটি উপকেন্দ্র ৩৩ কেভিতে সল্ফপ্রসারণের প্রস্তাব ছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। বাংলাদেশের আইডিয়াল ইলেক্ট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজকে মোট ১০২ কোটি ৬১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৯ টাকায় ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন, ময়মনসিংহ জোন’ প্রকল্পের জিডি-১ প্যাকেজের পঞ্চম লটের কাজটি দেওয়া হয়েছে।