ক্ষুদ্রঋণে নগদ টাকার বিনিময় কমিয়ে আনতে হবে: গভর্নর

  • Update Time : ০৮:০১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • / 199

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে নগদ টাকার বিনিময় কমিয়ে আনলে স্বচ্ছতা বাড়বে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) ই-সেবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

গভর্নর বলেন, সেবা করার জন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি। তবে কেন এতো উচ্চ চার্জ নেওয়া হচ্ছে? গরীবরা বেশি সুদ দিচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে হবে।

লাভের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সুদ হার কমানোর বিকল্প নেই।

সারা দেশে বতর্মানে এমআরএ নিবন্ধিত ৮৮১টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ৭৪৭টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২২ হাজার শাখার মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওগুলোর ঋণ আদায়ের হার ৯৮ ভাগের বেশি।

দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিসেবার আওতায় রয়েছে। পরিবার প্রতি গড়ে চারজন ধরা হলে প্রায় ১৪ কোটি মানুষ অর্থাৎ দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষুদ্রঋণে সম্পৃক্ত রয়েছে।

এনজিওগুলোর জোট ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) তথ্যমতে, গ্রামীণ অর্থায়নের প্রায় ৭৩ শতাংশ জোগান আসে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষি এবং ৩১ শতাংশ বিনিয়োগ হয় ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতে।

জিডিপিতে ক্ষুদ্রঋণের অবদান ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ক্ষুদ্রঋণে নগদ টাকার বিনিময় কমিয়ে আনতে হবে: গভর্নর

Update Time : ০৮:০১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে নগদ টাকার বিনিময় কমিয়ে আনলে স্বচ্ছতা বাড়বে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) ই-সেবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

গভর্নর বলেন, সেবা করার জন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি। তবে কেন এতো উচ্চ চার্জ নেওয়া হচ্ছে? গরীবরা বেশি সুদ দিচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে হবে।

লাভের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সুদ হার কমানোর বিকল্প নেই।

সারা দেশে বতর্মানে এমআরএ নিবন্ধিত ৮৮১টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ৭৪৭টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ২২ হাজার শাখার মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওগুলোর ঋণ আদায়ের হার ৯৮ ভাগের বেশি।

দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিসেবার আওতায় রয়েছে। পরিবার প্রতি গড়ে চারজন ধরা হলে প্রায় ১৪ কোটি মানুষ অর্থাৎ দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষুদ্রঋণে সম্পৃক্ত রয়েছে।

এনজিওগুলোর জোট ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) তথ্যমতে, গ্রামীণ অর্থায়নের প্রায় ৭৩ শতাংশ জোগান আসে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষি এবং ৩১ শতাংশ বিনিয়োগ হয় ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতে।

জিডিপিতে ক্ষুদ্রঋণের অবদান ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।