একনেকে ৩৯৮১ কোটি টাকার ৭ প্রকল্প অনুমোদন

  • Update Time : ০২:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / 152

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩২২ কোটি ২১ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৭টি অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩২২ কোটি লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।”

মন্ত্রী জানান, অনুমোদিত প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের “চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ টেকনাফ সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ অংশের জোটসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ” প্রকল্প; স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের “ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৪ এর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামোসহ অঞ্চল-২ -ও অঞ্চল-৪ এর সার্ভিস প্যাসেজসমূহের উন্নয়ন” প্রকল্প; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালের “বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ জন্যান্য উন্নয়ন কাজ” প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ০২ (দুই)টি প্রকল্প যথাক্রমে “বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প এবং “নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন (জেড-২০৩১) (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের “দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন” প্রকল্প। এছাড়া ব্যয় ঠিক রেখে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি “খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং “বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ (আন্তঃখাত সমন্বয়কৃত)” প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের “শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত)” প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের “চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ (১ম সংশোধিত); প্রকল্প।

একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন; ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী; পরিকল্প প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


একনেকে ৩৯৮১ কোটি টাকার ৭ প্রকল্প অনুমোদন

Update Time : ০২:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩২২ কোটি ২১ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৭টি অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩২২ কোটি লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।”

মন্ত্রী জানান, অনুমোদিত প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের “চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ টেকনাফ সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ অংশের জোটসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ” প্রকল্প; স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের “ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৪ এর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামোসহ অঞ্চল-২ -ও অঞ্চল-৪ এর সার্ভিস প্যাসেজসমূহের উন্নয়ন” প্রকল্প; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালের “বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ জন্যান্য উন্নয়ন কাজ” প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ০২ (দুই)টি প্রকল্প যথাক্রমে “বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প এবং “নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন (জেড-২০৩১) (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের “দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন” প্রকল্প। এছাড়া ব্যয় ঠিক রেখে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি “খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং “বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ (আন্তঃখাত সমন্বয়কৃত)” প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের “শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত)” প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের “চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ (১ম সংশোধিত); প্রকল্প।

একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন; ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী; পরিকল্প প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।