ডলার কারসাজির দায়ে পাঁচ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত

  • Update Time : ০৪:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২
  • / 201

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ডলার নিয়ে কারসাজির দায়ে পাঁচটি মানি চেঞ্জার হাউসের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে।

এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্র‌তিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নি‌তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হ‌য়েছে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংকটের এই সময়ে ডলার নিয়ে কারসাজি করলে সংশ্লিষ্ট মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডলার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

গত বছর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫.৫ বিলিয়ন থাকলেও জুলাই মাসের ২০ তারিখ নাগাদ সেটা ৩৭.৬৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি অনেক বেড়েছে। ফলে দেশীয় বাজারে ডলারের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় নানা ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি সামালা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ডলার কারসাজির দায়ে পাঁচ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত

Update Time : ০৪:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ডলার নিয়ে কারসাজির দায়ে পাঁচটি মানি চেঞ্জার হাউসের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে।

এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্র‌তিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নি‌তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হ‌য়েছে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংকটের এই সময়ে ডলার নিয়ে কারসাজি করলে সংশ্লিষ্ট মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডলার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

গত বছর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫.৫ বিলিয়ন থাকলেও জুলাই মাসের ২০ তারিখ নাগাদ সেটা ৩৭.৬৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি অনেক বেড়েছে। ফলে দেশীয় বাজারে ডলারের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় নানা ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি সামালা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।