বোতল চৌধুরী গ্রেপ্তার; বাসায় মিললো বিপুল পরিমাণ মদ-সিসা
- Update Time : ১২:০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
- / 205
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুই যুগ আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও অভিযোগপত্রের ১ নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে রাজধানীর গুলশানের পিংক সিটি সংলগ্ন ১০৭ রোডের ২৫/বি বাড়িতে র্যাব সদর দপ্তর ও সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা অভিযান চালিয়ে আলোচিত এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত পলাতক এই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার হয়। এর আগে রাত দশটার দিকে গুলশানের ওই বাড়িটি র্যাব সদস্যরা র্যাব সদস্যরা ঘিরে রাখেন।
এলিট ফোর্সটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ২৪ বছর আগে চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত ১ নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘গুলশানের নয়তলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে আশিষ রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশিষ রিজেন্ট এয়াওয়েজের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও)।’
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় গত ২০ মার্চ ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২। পরোয়ানাভুক্ত অন্য দুই আসামি হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান।
বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী এ মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। চার্জশিটে আছে আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীর নাম।
২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। দুই বছর পর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এই ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই সময় এক আসামি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি এমএ মতিন ও সৈয়দ রিফাত আহমদের বেঞ্চ ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওই রিট আবেদনে প্রথমে তিন মাসের জন্য নিম্ন আদালতে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। এরপর ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রিটের রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলাটির নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এরপর গত ২০ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন ওই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২০ মার্চ দিন ধার্য করেন। ওই দিন শুনানি শেষে আদালত তিনজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।