৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আজ

  • Update Time : ০২:০৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২
  • / 170

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ৩৬ হাজার শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র তুলে দেওয়া হবে আজ (সোমবার)। এ লক্ষ্যে দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী আইসোলেশনে থাকায় এই সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেবেন ভার্চুয়ালি। গতকাল (রোববার) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ৬৫ জনকে নিয়োগপত্র এবং এনটিআরসিএ-র সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীর হাতে সুপারিশপত্র তুলে দেওয়ার কথা ছিল শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির। তবে তার স্বামী বিশিষ্ট আইনজীবী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ড. তৌফিক নেওয়াজ শনিবার রাতে কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর থেকে শিক্ষামন্ত্রী আইসোলেশনে আছেন। তাই সংবাদ সম্মেলনে তিনি সশরীরে অংশ নেবেন না, ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ২ হাজার ৬৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে সুপারিশপত্রে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাকি প্রার্থীদের মধ্যে চার হাজার ১৯৮ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভি রোল ফরম না পাঠানো, নয়জনের প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হওয়া, তিনজনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্ত ভঙ্গ করে মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে আবেদন করাসহ বিভিন্ন কারণে মোট চার হাজার ২১০ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। যে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়নি, তাদের তালিকা এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

যে প্রার্থীরা ভি রোল ফরম পাঠাননি, তাদের আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএ অফিসে সরাসরি অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুই বছর আগে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সুপারিশ করা হয়। পরে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে দুই বছর সময়ক্ষেপণ করা হয়। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেসব শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান। এ ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশনে কারো ত্রুটি থাকলে তিনি পরে চাকরি হারাবেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আজ

Update Time : ০২:০৯:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ৩৬ হাজার শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র তুলে দেওয়া হবে আজ (সোমবার)। এ লক্ষ্যে দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী আইসোলেশনে থাকায় এই সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেবেন ভার্চুয়ালি। গতকাল (রোববার) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ৬৫ জনকে নিয়োগপত্র এবং এনটিআরসিএ-র সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীর হাতে সুপারিশপত্র তুলে দেওয়ার কথা ছিল শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির। তবে তার স্বামী বিশিষ্ট আইনজীবী ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ড. তৌফিক নেওয়াজ শনিবার রাতে কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর থেকে শিক্ষামন্ত্রী আইসোলেশনে আছেন। তাই সংবাদ সম্মেলনে তিনি সশরীরে অংশ নেবেন না, ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ২ হাজার ৬৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে সুপারিশপত্রে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাকি প্রার্থীদের মধ্যে চার হাজার ১৯৮ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভি রোল ফরম না পাঠানো, নয়জনের প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ হওয়া, তিনজনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্ত ভঙ্গ করে মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে আবেদন করাসহ বিভিন্ন কারণে মোট চার হাজার ২১০ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। যে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়নি, তাদের তালিকা এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

যে প্রার্থীরা ভি রোল ফরম পাঠাননি, তাদের আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএ অফিসে সরাসরি অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুই বছর আগে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সুপারিশ করা হয়। পরে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে দুই বছর সময়ক্ষেপণ করা হয়। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেসব শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান। এ ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশনে কারো ত্রুটি থাকলে তিনি পরে চাকরি হারাবেন।