৯ মাসে নির্যাতনের শিকার ১৫৪ সাংবাদিক: আসক
- Update Time : ০১:৫০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১
- / 179
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর- এই নয় মাসে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৫৪ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। একইসঙ্গে একজন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাও গেছেন।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে কেবল সেপ্টেম্বরই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৩ জন সাংবাদিক।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও আসকের নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন করা হয়েছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ মাসে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ১৫৪ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
নির্যাতিত সাংবাদিকদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৮ জন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মীদের দ্বারা ১৪ জন, স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৩ জন, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ১৩ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আর ১০৬ জন সাংবাদিক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, স্থানীয় প্রভাবশালী দ্বারা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সাংবাদিক নির্যাতন ছাড়াও ৯ মাসে নারী-শিশু নির্যাতন, সীমান্ত সংঘাত, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও হেফাজতে মৃত্যু, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ও ভয়াবহতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আসকের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ৯ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে এবং ‘ক্রসফায়ারে’ মোট ৪৮ জন মারা গেছেন।
একই সময়ে কারাগারে অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মারা যান ৬৭ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২৫ ও হাজতি ৪২ জন। এই সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৮৫ নারী। যার মধ্যে একক ধর্ষণের শিকার হন ৮৭৯ জন এবং সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ২০৩ নারী। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন ৩৯ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ৮ নারী। এছাড়া ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ২৫৬টি।
এই সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১০১ জন নারী। এর মধ্যে আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন এবং হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন। আর যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ জন পুরুষ, যার মধ্যে ৪ জন পুরুষ খুন হয়েছেন।
আলোচ্য সময়ে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫২৭ জন নারী। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছেন ১৮২ জন নারী। এই সময়ে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৮ জন গৃহকর্মী।