চীনা টিকার জরুরি অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

  • Update Time : ১২:৪৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • / 175

জরুরি ব্যবহারের জন্য চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে উদ্ভাবিত দু’টি টিকার মধ্যে এটিই প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার (৭ মে) রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরে একমাত্র চীনই এককভাবে দু’টি টিকা সফলভাবে উদ্ভাবনের দাবি করেছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিনোফার্মের টিকা। ইতোমধ্যে চীনসহ বিশ্বের ৪৫টি দেশের কয়েক লাখ মানুষ সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন। চীনের এই টিকার অনুমোদনের ফলে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহে গতি আসবে বলছে সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মডার্নার টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছিল। টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বিষয়ে নিশ্চয়তা পেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকার অনুমোদন দিয়ে থাকে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ চীনের উদ্ভাবিত টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন আগেই দিয়েছিল। এবার তাতে সায় দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

এদিকে, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সরকারও চীনের সিনোফার্মের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি মে সময়ের মধ্যে চীন সরকারের উপহার হিসেবে এই টিকার পাঁচ লাখ ডোজ দেশে আসতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


চীনা টিকার জরুরি অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Update Time : ১২:৪৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

জরুরি ব্যবহারের জন্য চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে উদ্ভাবিত দু’টি টিকার মধ্যে এটিই প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার (৭ মে) রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরে একমাত্র চীনই এককভাবে দু’টি টিকা সফলভাবে উদ্ভাবনের দাবি করেছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিনোফার্মের টিকা। ইতোমধ্যে চীনসহ বিশ্বের ৪৫টি দেশের কয়েক লাখ মানুষ সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন। চীনের এই টিকার অনুমোদনের ফলে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহে গতি আসবে বলছে সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মডার্নার টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছিল। টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বিষয়ে নিশ্চয়তা পেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকার অনুমোদন দিয়ে থাকে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ চীনের উদ্ভাবিত টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন আগেই দিয়েছিল। এবার তাতে সায় দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

এদিকে, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সরকারও চীনের সিনোফার্মের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি মে সময়ের মধ্যে চীন সরকারের উপহার হিসেবে এই টিকার পাঁচ লাখ ডোজ দেশে আসতে পারে।