ইউরোপে ফের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া

  • Update Time : ০৪:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / 244

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউরোপে ফের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম বলছে, গ্যাস পাইপলাইনে মেরামত কাজের কারণে সরবরাহ বন্ধ থাকবে। নর্ড স্ট্রিম ১ নামে পরিচিত রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের প্রধান পাইপলাইনের ওপর বিধিনিষেধ আগামী তিনদিন থাকবে। খবর বিবিসির।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকেই রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলো নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আনতে শুরু করে। এর পাল্টা জবাব হিসেবে রাশিয়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

রাশিয়া জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এমন অভিযোগ এনেছে ইউরোপের দেশগুলো। গত বছর ইউরোপে ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করেছে রাশিয়া। এদিকে রাশিয়া সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া অথবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর ইউরোপীয় কমিশন তার সদস্য দেশগুলোকে গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।

সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে রাশিয়ার উপকূল থেকে উত্তর-পূর্ব জার্মানি পর্যন্ত বাল্টিক সাগরের তলদেশে এক হাজার দুশো কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) প্রসারিত নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনটি।

২০১১ সালে এটি চালু হয়। এর আগে গত জুলাই মাসে প্রায় ১০ দিনের জন্য এই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। সে সময় রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে উৎপাদন ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে।

ইউরোপীয় নেতারা আশঙ্কা করছেন যে, রাশিয়া গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়াসেই এমনটা করছে। ইতোমধ্যেই গ্যাসের দাম প্রায় ৪০০ শতাংশ বেড়েছে।

ইউরোপের দেশগুলোতে আগামী কয়েক শীতে গ্যাসের সংকট থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে।

প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম না কমলে আগামী ৫ বা ১০টি শীতকাল ইউরোপের জন্য সংকটময় হতে পারে। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে পড়েছে ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ। ইউরোপীয়রা তাদের আয়ের এক-দশমাংশ জ্বালানিতে ব্যয় করছে। ধনী পরিবারগুলোতে বড় বাড়ি ও গাড়ি থাকার প্রবণতা থাকে, তবে জ্বালানির ব্যয় বৃদ্ধি সাধারণত আয়ের পার্থক্যের মতো বড় নয়।

এজন্য গরিবদের জ্বালানি খরচ বাজেটের তুলনায় বেড়ে যাচ্ছে। দেশগুলোর মধ্যেও এ ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যেমন- ইউরোপের পূর্বাঞ্চলের সাবেক দরিদ্র কমিউনিস্ট দেশগুলো সমৃদ্ধ নর্ডিক উত্তরের তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

Please Share This Post in Your Social Media


ইউরোপে ফের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া

Update Time : ০৪:২৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইউরোপে ফের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম বলছে, গ্যাস পাইপলাইনে মেরামত কাজের কারণে সরবরাহ বন্ধ থাকবে। নর্ড স্ট্রিম ১ নামে পরিচিত রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের প্রধান পাইপলাইনের ওপর বিধিনিষেধ আগামী তিনদিন থাকবে। খবর বিবিসির।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকেই রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলো নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আনতে শুরু করে। এর পাল্টা জবাব হিসেবে রাশিয়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

রাশিয়া জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এমন অভিযোগ এনেছে ইউরোপের দেশগুলো। গত বছর ইউরোপে ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করেছে রাশিয়া। এদিকে রাশিয়া সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া অথবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর ইউরোপীয় কমিশন তার সদস্য দেশগুলোকে গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।

সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে রাশিয়ার উপকূল থেকে উত্তর-পূর্ব জার্মানি পর্যন্ত বাল্টিক সাগরের তলদেশে এক হাজার দুশো কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) প্রসারিত নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনটি।

২০১১ সালে এটি চালু হয়। এর আগে গত জুলাই মাসে প্রায় ১০ দিনের জন্য এই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। সে সময় রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে উৎপাদন ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে।

ইউরোপীয় নেতারা আশঙ্কা করছেন যে, রাশিয়া গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়াসেই এমনটা করছে। ইতোমধ্যেই গ্যাসের দাম প্রায় ৪০০ শতাংশ বেড়েছে।

ইউরোপের দেশগুলোতে আগামী কয়েক শীতে গ্যাসের সংকট থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে।

প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম না কমলে আগামী ৫ বা ১০টি শীতকাল ইউরোপের জন্য সংকটময় হতে পারে। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে পড়েছে ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ। ইউরোপীয়রা তাদের আয়ের এক-দশমাংশ জ্বালানিতে ব্যয় করছে। ধনী পরিবারগুলোতে বড় বাড়ি ও গাড়ি থাকার প্রবণতা থাকে, তবে জ্বালানির ব্যয় বৃদ্ধি সাধারণত আয়ের পার্থক্যের মতো বড় নয়।

এজন্য গরিবদের জ্বালানি খরচ বাজেটের তুলনায় বেড়ে যাচ্ছে। দেশগুলোর মধ্যেও এ ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যেমন- ইউরোপের পূর্বাঞ্চলের সাবেক দরিদ্র কমিউনিস্ট দেশগুলো সমৃদ্ধ নর্ডিক উত্তরের তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।