এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষিতে ‘স্বল্পসংখ্যক’ অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন বাহিনীর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি।
পেন্টাগনের মুখপাত্র এয়ার ফোর্সের মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, ‘অতি সতর্কতা হিসেবে, আমরা এই অঞ্চলে আমাদের বাহিনীকে বড় করার জন্য অল্প সংখ্যক অতিরিক্ত মার্কিন সামরিক কর্মী পাঠাচ্ছি।’
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এল, যখন আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় এক বছরের সহিংসতার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আন্তঃসীমান্ত পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েল লেবাননে শত শত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার সেনা রয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে তারা নিজস্ব বাহিনী ও ইসরায়েলকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
লেবাননের শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিজবুল্লাহ গাজা যুদ্ধে তাদের মিত্র হামাসকে সমর্থনে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার পর থেকেই গাজায় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি হিজবুল্লাহসহ ইরান সমর্থিত অন্য আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলো সেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।