যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস, অভিযানে সায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার

  • Update Time : ১১:৪৩:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • / 60

যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশর ও কাতারের প্রস্তাব মানতে রাজি হয়েছে হামাস। গত সপ্তাহান্তে মিশরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। গতকাল সেই আলোচনা শেষ হয়।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে মিশর ও কাতারকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি। মিশর ও কাতারই যুদ্ধ থামানোর জন্য মধ্যস্থতা করছে।

এদিকে হামাস জানিয়েছে, গাজা শান্তিপ্রস্তাব তিনটি পর্যায়ে রূপায়ণ করতে হবে। ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।

হামাস নেতা খলিল-আল-হায়া জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি পর্যায় হবে ৪২ দিনের। ইসরায়েলের পণবন্দিদের ফেরত দেয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে। যে সব ফিলিস্তিনি লড়াইয়ের জন্য ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তারা নিজেদের জায়গায় ফিরতে পারবেন। এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করতে হবে।’

তবে ইসরায়েলের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত লড়াই থামানোর জন্য কোনো চুক্তি হয়নি।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে, তা ইসরায়েলের পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন।

বার্তাসংস্থা এপি-কে ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েল খতিয়ে দেখছে। তবে হামাস যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, তার সঙ্গে ইসরায়েলের প্রস্তাবের অনেক ফারাক আছে।

যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, তারা হামাসের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে সামরিক অভিযানে সায় দিয়েছে।

নেতানিয়াহুর অফিস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘মন্ত্রিসভা এই বিষয়ে একমত যে, রাফায় অভিযান চালানো হোক। এর ফলে হামাসের উপর সামরিক চাপ দেয়া সম্ভব হবে। এর ফলে তারা ইসরায়েলের পণবন্দিদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। যুদ্ধবিরতির চেষ্টাও চলবে। ইসরায়েলের একটি্ প্রতিনিধিদল আলোচনার জন্য যাবে এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তির চেষ্টা করবে।’

ইসরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, তারা পূর্ব রাফায় হামাসের উপর আক্রমণ করছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

Please Share This Post in Your Social Media


যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস, অভিযানে সায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার

Update Time : ১১:৪৩:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশর ও কাতারের প্রস্তাব মানতে রাজি হয়েছে হামাস। গত সপ্তাহান্তে মিশরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। গতকাল সেই আলোচনা শেষ হয়।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে মিশর ও কাতারকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি। মিশর ও কাতারই যুদ্ধ থামানোর জন্য মধ্যস্থতা করছে।

এদিকে হামাস জানিয়েছে, গাজা শান্তিপ্রস্তাব তিনটি পর্যায়ে রূপায়ণ করতে হবে। ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।

হামাস নেতা খলিল-আল-হায়া জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি পর্যায় হবে ৪২ দিনের। ইসরায়েলের পণবন্দিদের ফেরত দেয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে। যে সব ফিলিস্তিনি লড়াইয়ের জন্য ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তারা নিজেদের জায়গায় ফিরতে পারবেন। এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করতে হবে।’

তবে ইসরায়েলের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত লড়াই থামানোর জন্য কোনো চুক্তি হয়নি।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে, তা ইসরায়েলের পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন।

বার্তাসংস্থা এপি-কে ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েল খতিয়ে দেখছে। তবে হামাস যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, তার সঙ্গে ইসরায়েলের প্রস্তাবের অনেক ফারাক আছে।

যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, তারা হামাসের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে সামরিক অভিযানে সায় দিয়েছে।

নেতানিয়াহুর অফিস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘মন্ত্রিসভা এই বিষয়ে একমত যে, রাফায় অভিযান চালানো হোক। এর ফলে হামাসের উপর সামরিক চাপ দেয়া সম্ভব হবে। এর ফলে তারা ইসরায়েলের পণবন্দিদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। যুদ্ধবিরতির চেষ্টাও চলবে। ইসরায়েলের একটি্ প্রতিনিধিদল আলোচনার জন্য যাবে এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তির চেষ্টা করবে।’

ইসরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, তারা পূর্ব রাফায় হামাসের উপর আক্রমণ করছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স