বিধ্বস্ত নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

  • Update Time : ১০:৩৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 117

স্পোর্টস ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ২টিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পেরেই হেরেছে বাংলাদেশ। নেলসনে হওয়া তৃতীয় ম্যাচটি ছিল তাই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। এমন ম্যাচে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ তো এড়ালোই, সেটিও নানা রেকর্ড গড়ে।

এই ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কখনোই তাদের হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯ উইকেট ও ২০৯ বল হাতে রেখে এবার এলো ঐতিহাসিক প্রথম জয়। ১৯তম ম্যাচে এসে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে হারাল বাংলাদেশ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের পেসারদের তোপে পড়ে মাত্র ৯৮ রানেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। এদিন নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেটই নিলেন পেসাররা। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়ল কিউইরা। দেশের মাটিতে এই রান তাদের চতুর্থ সর্বনিম্ন।

৯৯ বা তার কম রানের লক্ষ্যে এই ম্যাচের আগেও কখনো হারেনি বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে একটু বেশি দাপট দেখিয়েই জিতল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চোখের সমস্যার কারণে সৌম্য সরকার উঠে যাওয়ার পর শেষদিকে এনামুল হক বিজয় বিদায় নিলেও ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

নেলসনে আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হয় ম্যাচ। শুরুতেই বল হাতে রুদ্ররূপ দেখান শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। ২২ রানের মধ্যেই কিউই ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও তিনে নামা ব্যাটার হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে উৎসব শুরু করেন তানজিম হাসান সাকিব। এই উইকেটেই ৫৮ রান পর্যন্ত চলে গিয়েছিল তারা। যদিও রান কম দিয়ে আঁটসাঁট বোলিং করছিলেন এই দুজন। তবে এরপর ৭০ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেটে। পরবর্তী ৪ উইকেটের ১টি সাকিবের, শরিফুলের ৩টি।

নিউজিল্যান্ডের লেজের ব্যাটারদের ছাঁটাইয়ের কাজটা করেন সৌম্য। দ্রুতই তিনি ৩ উইকেট তুলে নিলে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। তাদের দুর্গে শেষ আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২৫ ওভারের আগেই ৯৮ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড।

৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরুই করেছিলেন দুই বাংলাদেশ ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার। তবে ১৫ রানের মাথায় চোখে কিছু একটা সমস্যা হওয়ায় মাঠ ছাড়েন সৌম্য। এরপর নামেন অধিনায়ক শান্ত। এই দুজন মিলে তুলোধুনো করতে থাকেন কিউই বোলারদের।

দুজনে মিলে গড়ে ফেলেন ৬৯ রানের জুটি। ৮৪ রানের মাথায় ও’রর্কের বলে ফেরেন বিজয়। ৩৩ বলে ৭ চারে ৩৭ রান করে ফেরেন তিনি। তবে লিটন দাসকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন শান্ত। ৪২ বলে ৮ চারে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিধ্বস্ত নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

Update Time : ১০:৩৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ২টিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পেরেই হেরেছে বাংলাদেশ। নেলসনে হওয়া তৃতীয় ম্যাচটি ছিল তাই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। এমন ম্যাচে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ তো এড়ালোই, সেটিও নানা রেকর্ড গড়ে।

এই ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কখনোই তাদের হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯ উইকেট ও ২০৯ বল হাতে রেখে এবার এলো ঐতিহাসিক প্রথম জয়। ১৯তম ম্যাচে এসে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে হারাল বাংলাদেশ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের পেসারদের তোপে পড়ে মাত্র ৯৮ রানেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। এদিন নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেটই নিলেন পেসাররা। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়ল কিউইরা। দেশের মাটিতে এই রান তাদের চতুর্থ সর্বনিম্ন।

৯৯ বা তার কম রানের লক্ষ্যে এই ম্যাচের আগেও কখনো হারেনি বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে একটু বেশি দাপট দেখিয়েই জিতল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চোখের সমস্যার কারণে সৌম্য সরকার উঠে যাওয়ার পর শেষদিকে এনামুল হক বিজয় বিদায় নিলেও ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

নেলসনে আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হয় ম্যাচ। শুরুতেই বল হাতে রুদ্ররূপ দেখান শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। ২২ রানের মধ্যেই কিউই ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও তিনে নামা ব্যাটার হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে উৎসব শুরু করেন তানজিম হাসান সাকিব। এই উইকেটেই ৫৮ রান পর্যন্ত চলে গিয়েছিল তারা। যদিও রান কম দিয়ে আঁটসাঁট বোলিং করছিলেন এই দুজন। তবে এরপর ৭০ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেটে। পরবর্তী ৪ উইকেটের ১টি সাকিবের, শরিফুলের ৩টি।

নিউজিল্যান্ডের লেজের ব্যাটারদের ছাঁটাইয়ের কাজটা করেন সৌম্য। দ্রুতই তিনি ৩ উইকেট তুলে নিলে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। তাদের দুর্গে শেষ আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২৫ ওভারের আগেই ৯৮ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড।

৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরুই করেছিলেন দুই বাংলাদেশ ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার। তবে ১৫ রানের মাথায় চোখে কিছু একটা সমস্যা হওয়ায় মাঠ ছাড়েন সৌম্য। এরপর নামেন অধিনায়ক শান্ত। এই দুজন মিলে তুলোধুনো করতে থাকেন কিউই বোলারদের।

দুজনে মিলে গড়ে ফেলেন ৬৯ রানের জুটি। ৮৪ রানের মাথায় ও’রর্কের বলে ফেরেন বিজয়। ৩৩ বলে ৭ চারে ৩৭ রান করে ফেরেন তিনি। তবে লিটন দাসকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন শান্ত। ৪২ বলে ৮ চারে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।