অলরাউন্ডার সাকিবে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ

  • Update Time : ০৮:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • / 187

প্রতিবেদক:

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৪৬ রানে। এর মধ্যে সাকিব ৭৫ ও মুশফিক ৭০ রান করেন। বল হাতেও জ্বলে ওঠেন সাকিব। তুলে নেন ৪ উইকেট। সে সুবাদে চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।

সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।

চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ রানের মধ্যে ইংলিশদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সাকিব ২টি এবং এবাদত এক উইকেট তুলে নেন ১ রানের ব্যবধানে।

এরপরই ডেভিড মালানকে ফেরান পেসার এবাদত হোসেন। ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। সাকিবের পরের ওভারের প্রথম বলেই আরেক ওপেনার জেসন রয় ১৯ রান করে বোল্ড হন।

চাপের মুখে ইংল্যান্ডের হাল ধরার চেষ্টা করেন স্যাম কারান ও জেমস ভিন্স। এই জুটি দলের স্কোরে যোগ করে ৪৯ রান। ব্যাটিং অর্ডারে উপরে উঠে আসা কারান ২৩ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভিন্সও। ব্যক্তিগত ২৬ রানে তিনি বিদায় নেন সাকিবের তৃতীয় শিকার হয়ে। এর কিছুক্ষণ পর ফের এবাদতের আঘাত। ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীকে সরাসরি বোল্ড করেন এই ডানহাতি পেসার। মঈনের সংগ্রহ ছিল ২ রান।

ইংল্যান্ডের দলীয় রান দেড় শ’ পার হওয়ার পর জোড়া আঘাত হানেন তাইজুল। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে (২৬) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি স্পিনার। আর আদিল রশিদকে করেন বোল্ড। শেষের দুটি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশের হয়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১ রানে পতন হয় লিটন দাসের উইকেটের। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আউট হন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। দলের স্কোর তখন ১৭।

দু্ই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৩ রান করা শান্ত ফিরে যান ২৫তম ওভারে। দলীয় রান তখন ১১৫।

উইকেটে থাকার চেষ্টা করা মুশফিকের ব্যাট থেমে যায় দলীয় ১৫৫ রানে। তার আগে ৯৩ বলে ৭০ রানের মূল্যবান ইনিংস উপহার দেন তিনি।

দলের নির্ভরতার প্রতীক সাকিব আল হাসানের ব্যাটও এদিন হেসেছে। সেঞ্চুরি করতে না পারলেও ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

বাকি ব্যাটারদের মধ্যে আফিফ হোসেনের ১৫ রান ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের কোঠা পার হতে পারেননি। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ করেন ৯ বলে ৮ রান। শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অলরাউন্ডার সাকিবে হোয়াইটওয়াশ এড়াল বাংলাদেশ

Update Time : ০৮:২৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

প্রতিবেদক:

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৪৬ রানে। এর মধ্যে সাকিব ৭৫ ও মুশফিক ৭০ রান করেন। বল হাতেও জ্বলে ওঠেন সাকিব। তুলে নেন ৪ উইকেট। সে সুবাদে চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।

সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।

চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ রানের মধ্যে ইংলিশদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সাকিব ২টি এবং এবাদত এক উইকেট তুলে নেন ১ রানের ব্যবধানে।

এরপরই ডেভিড মালানকে ফেরান পেসার এবাদত হোসেন। ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। সাকিবের পরের ওভারের প্রথম বলেই আরেক ওপেনার জেসন রয় ১৯ রান করে বোল্ড হন।

চাপের মুখে ইংল্যান্ডের হাল ধরার চেষ্টা করেন স্যাম কারান ও জেমস ভিন্স। এই জুটি দলের স্কোরে যোগ করে ৪৯ রান। ব্যাটিং অর্ডারে উপরে উঠে আসা কারান ২৩ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভিন্সও। ব্যক্তিগত ২৬ রানে তিনি বিদায় নেন সাকিবের তৃতীয় শিকার হয়ে। এর কিছুক্ষণ পর ফের এবাদতের আঘাত। ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীকে সরাসরি বোল্ড করেন এই ডানহাতি পেসার। মঈনের সংগ্রহ ছিল ২ রান।

ইংল্যান্ডের দলীয় রান দেড় শ’ পার হওয়ার পর জোড়া আঘাত হানেন তাইজুল। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে (২৬) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি স্পিনার। আর আদিল রশিদকে করেন বোল্ড। শেষের দুটি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশের হয়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১ রানে পতন হয় লিটন দাসের উইকেটের। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আউট হন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। দলের স্কোর তখন ১৭।

দু্ই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৩ রান করা শান্ত ফিরে যান ২৫তম ওভারে। দলীয় রান তখন ১১৫।

উইকেটে থাকার চেষ্টা করা মুশফিকের ব্যাট থেমে যায় দলীয় ১৫৫ রানে। তার আগে ৯৩ বলে ৭০ রানের মূল্যবান ইনিংস উপহার দেন তিনি।

দলের নির্ভরতার প্রতীক সাকিব আল হাসানের ব্যাটও এদিন হেসেছে। সেঞ্চুরি করতে না পারলেও ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

বাকি ব্যাটারদের মধ্যে আফিফ হোসেনের ১৫ রান ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের কোঠা পার হতে পারেননি। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ করেন ৯ বলে ৮ রান। শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।