নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ‘উদ্ভাবনী’ নীতি সহায়তা দরকার: স্পিকার

  • Update Time : ০৮:২৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • / 131

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারী উদ্যোক্তাদের মোকাবেলা করা বিভিন্ন আইনি ও আর্থিক জটিলতার কথা তুলে ধরে তাদের উদ্ভাবনী নীতি সহায়তা দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

নারী দিবস সামনে রেখে সোমবার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নারীরা যে পেশাতে থাকেন না কেন, তাদেরকে কর্মক্ষেত্র আর ঘরের ভারসাম্য রক্ষায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়।

“যেসব নারী ব্যবসাতে আগ্রহী তাদের জন্য কার্যকর পরিবেশ তৈরির জন্য আইনি কাঠামো ও নীতি সহায়তা অবশ্যই দিতে হবে।”

শিরীন শারমিন বলেন, “গতানুগতিক ধারায় চললে প্রত্যাশিত ফলাফল আসবে না; এজন্য নারীর চোখে প্রণয়ন করা উদ্ভাবনী নীতি প্রচেষ্ঠা ও কৌশল নিতে হবে।

“এই সহায়তার প্রয়োজন হওয়ার কারণ হচ্ছে তারা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে এবং অতিমাত্রায় বোঝা বইছে তারা।”

ঢাকার একটি হোটেলে ‘উইমেন ইন বিজনেস: এম্পাওয়ারিং বাংলাদেশ ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।

স্পিকার বলেন, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন একটি বড় বাধা। আবার অনেক সময় বরাদ্দ থাকলেও না জানা এবং আইনি জটিলতার কারণে সেটা থেকে উপকৃত হতে পারছেন না নারীরা।

তিনি বলেন, “অর্থপ্রাপ্তি তাদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা। কোনো উদ্যোগের জন্য ঋণ পাওয়া এবং অর্থায়ন নিশ্চিত করা একজন নারীর জন্য বাধা। তবে আমরা দেখি যে, আমরা ঋণ অপ্রতুলতা বা অর্থায়নের অভাব নিয়ে যা কিছু বলি না কেন, এমনকি অর্থায়নের প্রচুর সুযোগ থাকা স্বত্বেও অনেক সময় নারীরা জানেন না, কোথা থেকে সেই সুযোগটা নিতে হবে।

“সুতরাং তাদেরকে সঠিক তথ্য ও সংযোগটা জানানো গুরুত্বপূর্ণ কোথা থেকে তারা এই অর্থ পেতে পারে এবং নিজেদের উদ্যোগে অর্থায়ন করতে পারে।”

এক সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা শিরীন শারমিন বলেন, “আমি নিজে জানি যে, একবার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা পৃথকভাবে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, কিন্তু পরে তার বেশিরভাগ অংশই অব্যবহৃত থেকে গেছে।

“তার মানে হচ্ছে এটা কেবল অর্থের অভাব নয়, অর্থায়ন আছে, অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে অর্থের ব্যবহার না হওয়ার বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ।”

ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য সেবা পাওয়া এবং শোরুম তৈরিতে নারীরা বেশি ঝামেলার মুখোমুখি হন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব সেবা এক জায়গায় দেওয়ার ওয়ানস্টপ সার্ভিসের ব্যবস্থা যদি তাদের জন্য করা যায়, তাহলে এতে বেশি উপকার হবে।

হিসাব ও অর্থায়নের বিষয়ে নারীদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকে না উল্লেখ করে তিনি তহবিলের পাশাপাশি এসব ব্যবস্থাপনাসহ তাদেরকে বহুমুখী প্রশিক্ষণের পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন।

অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওরাকল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের উপ রাষ্ট্রদূত হেলেন লাফেইভ, সেমস গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট মেহরীন এন. ইসলাম এবং অ্যামচেম সহ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ‘উদ্ভাবনী’ নীতি সহায়তা দরকার: স্পিকার

Update Time : ০৮:২৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারী উদ্যোক্তাদের মোকাবেলা করা বিভিন্ন আইনি ও আর্থিক জটিলতার কথা তুলে ধরে তাদের উদ্ভাবনী নীতি সহায়তা দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

নারী দিবস সামনে রেখে সোমবার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নারীরা যে পেশাতে থাকেন না কেন, তাদেরকে কর্মক্ষেত্র আর ঘরের ভারসাম্য রক্ষায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়।

“যেসব নারী ব্যবসাতে আগ্রহী তাদের জন্য কার্যকর পরিবেশ তৈরির জন্য আইনি কাঠামো ও নীতি সহায়তা অবশ্যই দিতে হবে।”

শিরীন শারমিন বলেন, “গতানুগতিক ধারায় চললে প্রত্যাশিত ফলাফল আসবে না; এজন্য নারীর চোখে প্রণয়ন করা উদ্ভাবনী নীতি প্রচেষ্ঠা ও কৌশল নিতে হবে।

“এই সহায়তার প্রয়োজন হওয়ার কারণ হচ্ছে তারা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে এবং অতিমাত্রায় বোঝা বইছে তারা।”

ঢাকার একটি হোটেলে ‘উইমেন ইন বিজনেস: এম্পাওয়ারিং বাংলাদেশ ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।

স্পিকার বলেন, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন একটি বড় বাধা। আবার অনেক সময় বরাদ্দ থাকলেও না জানা এবং আইনি জটিলতার কারণে সেটা থেকে উপকৃত হতে পারছেন না নারীরা।

তিনি বলেন, “অর্থপ্রাপ্তি তাদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা। কোনো উদ্যোগের জন্য ঋণ পাওয়া এবং অর্থায়ন নিশ্চিত করা একজন নারীর জন্য বাধা। তবে আমরা দেখি যে, আমরা ঋণ অপ্রতুলতা বা অর্থায়নের অভাব নিয়ে যা কিছু বলি না কেন, এমনকি অর্থায়নের প্রচুর সুযোগ থাকা স্বত্বেও অনেক সময় নারীরা জানেন না, কোথা থেকে সেই সুযোগটা নিতে হবে।

“সুতরাং তাদেরকে সঠিক তথ্য ও সংযোগটা জানানো গুরুত্বপূর্ণ কোথা থেকে তারা এই অর্থ পেতে পারে এবং নিজেদের উদ্যোগে অর্থায়ন করতে পারে।”

এক সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা শিরীন শারমিন বলেন, “আমি নিজে জানি যে, একবার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা পৃথকভাবে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, কিন্তু পরে তার বেশিরভাগ অংশই অব্যবহৃত থেকে গেছে।

“তার মানে হচ্ছে এটা কেবল অর্থের অভাব নয়, অর্থায়ন আছে, অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে অর্থের ব্যবহার না হওয়ার বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ।”

ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য সেবা পাওয়া এবং শোরুম তৈরিতে নারীরা বেশি ঝামেলার মুখোমুখি হন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব সেবা এক জায়গায় দেওয়ার ওয়ানস্টপ সার্ভিসের ব্যবস্থা যদি তাদের জন্য করা যায়, তাহলে এতে বেশি উপকার হবে।

হিসাব ও অর্থায়নের বিষয়ে নারীদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকে না উল্লেখ করে তিনি তহবিলের পাশাপাশি এসব ব্যবস্থাপনাসহ তাদেরকে বহুমুখী প্রশিক্ষণের পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন।

অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওরাকল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা।

আলোচনায় অংশ নেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের উপ রাষ্ট্রদূত হেলেন লাফেইভ, সেমস গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট মেহরীন এন. ইসলাম এবং অ্যামচেম সহ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।