সিফাত নুসরাতের ইন্টারন্যাশনালি মডেলিং-এর যাত্রা
- Update Time : ০১:১৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
- / 11
বাংলাদেশি মডেল হয়ে কিভাবে ইন্টারন্যাশনালি কাজের সুযোগ পেলেন এবং প্রথম কাজ কি?
সিফাত নুসরাত – আমি বাংলাদেশে একটানা তিনবছর ব্রাইডাল মডেল হিসেবে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছি, এবং একটানা কাজ করেছি, সেই সূত্রেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্রাইডাল ওয়ার্কশপ গুলোতে মডেল হিসাবে আমাকে ডাকা হতো, এভাবেই ফরিদপুরের একটা ওয়ার্কশপের আকলিমা বেগম ( মেকাপ আর্টিস্ট ) আমাকে তার মডেল হিসেবে নিয়ে যান, এবং সেটাই বলতে পারেন আমার ক্যারিয়ারে একটা লাকি ওয়ার্কশপ ছিলো , ওখানে আমাকে স্টেজ দেখেন কারমা ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার অঞ্জনা রয়।এবং সেখান থেকেই তিনি আমাকে কলকাতার নেক্সট এতটা ওয়ার্কশপের মডেল হিসেবে ইনভাইট করেন।
এখন পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনালি কোন কোন ব্রান্ডের সাথে কাজ করা হয়েছে ?
সিফাত নুসরাত: এখন পর্যন্ত তিনটা ব্রান্ডের সাথে আমার কাজ করা হয়েছে ,আফলাইজা, রিকোড এবং ফরএভার ফিফটি টু। কলকাতার যেসব স্টেটে ওদের আউটলেট আছে, সবগুলোতেই আমার ছবি প্রকাশ করেছে/লঞ্চ করেছে/। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনালি কিছু মেকাপ আর্টিস্টের সাথে কাজ করারও সুযোগ হয়েছে।
এই তিনটি ব্রান্ডের সাথে কাজ কিভাবে হলো?
সিফাত নুসরাত – কলকাতাতে যখন আমি কারমা ইন্টারন্যাশনালের ওয়ার্কশপে যায় ওখানে সব ব্রান্ডের অওনাররা ছিলেন , সেখান থেকেই আমাকে দেখে তারা সরাসরি অঞ্জনা রয়ের সাথে কথা বলেন এবং তিনিই আমার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেন, প্রথমে আফলাইজা, রিকোড এর সাথে আমার কাজ হয় এবং কাজটা রিলিজ পাওয়ার পরে , কারমা সাথে পূনরায় যোগাযোগ করেন ফরএভার ফিফটি টু, তারাও আমাকে তাদের ব্রান্ডের মডেল হিসেবে চুক্তি বদ্ধ হতে চান, দ্যান আমাকে তারা কলকাতাতে নিয়ে যান এবং আমি তাদের সাথে এভাবেই কাজ করি।
দেখলাম আবার কলকাতা যাচ্ছেন? নতুন কোনো ব্রান্ডের সাথে চুক্তি বন্ধ হচ্ছেন?
সিফাত নুসরাত: আমি যদি বাইরে কোথাও যায় বুঝে নিবেন কোনো কাজ ছাড়া যায় না, কাজ ঘুড়াঘুড়ি একটা টাইম করে নেই, তানাহলে আমি সময় করে উঠতে পারিনা।এবারও বেশ কিছু কাজ নিয়ে যাচ্ছি সকলের দোয়া থাকলে কাজের পরে জানিয়ে দিবো।আপাতত এতটুকু বলতে পারি যাওয়ার আরও একটা কারন হচ্ছে কারমার ইন্টারন্যাশনাল মেকাপ কারনিভাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানুয়ারিতে।
ন্যাশনালি এবং ইন্টারন্যাশনালি কাজের মধ্যে আপনার পার্থক্য কি মনে হয়েছে?
সিফাত নুসরাত: অনেক অনেক অনেক বেশি ডিফরেন্ট , আমি একজন বাংলাদেশি মডেল সেখানে কাজ করতে গেছি সেটা তারা আমাকে বুঝতেও দেয় নাই , কতটুকু সম্মান একজন আর্টিস্টিকে করলে সে কাজটা পরবর্তীতেও করতে আগ্রহী হয় সেটা তারা জানেন, এবং আমি বারবার তাদের সাথে কাজ করতে চাই।
কারমার সাথে আপনার চুক্তি হয়েছে কত বছরের?
সিফাত নুসরাত: আমি তিনটা ইন্টারন্যাশনালি ব্রান্ডের সাথে কাজের সুযোগ পাওয়ার পরে কারমা আমার সাথে তিনবছরের চুক্তি করেছেন, আমাকে চার মাস তারা আগে পর্যবেক্ষণ করেছে , যে আসলেই আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে কতটা সিরিয়াস, যখন তারা দেখেছে সব ভালো ব্রান্ড গুলো আমাকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে, এবং আমিও দেশের বাইরে মুভ করে শুট গুলো করতে পারছি , তখন তারাও আমার উপর বিশ্বাস এনেছে, একটা কাজের উপর ডিপেন্ড করে কারমা কোনো মডেলের সাথে সাইনিং এ আসেন না, আর বাংলাদেশ থেকে বাইরে মুভ করে শুট করা বারবার শুটের পারপাসে সেটাও কম কথা না, যেহেতু সবগুলো ইন্টারন্যাশনালি ব্রান্ড তাই শুট গুলো সবই দেশের বাইরে হয়। যেকারণে তাদের মনে একটু সংশয় থাকলেও আমি সেই সংশয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।