জ্যামে অতিষ্ঠ হয়ে নগর পিতার কাছে যে আবেদন চঞ্চল চৌধুরীর

  • Update Time : ১২:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • / 154

 

ঢাকা শহরে প্রতিদিনের যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি।

তার স্ট্যাটাসটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়া হলো-

‘খুব আফসোস হয়, ছোটবেলায় আমাদের বাবা-মা কোনোদিনই স্কুলে আনা-নেওয়া করেননি। গ্রামের স্কুল তো, দল বেঁধে সব ছেলেমেয়ে একসঙ্গে, এক মাইল হেঁটে স্কুলে যেতাম আসতাম। ঢাকা শহরের বাবা-মায়েদের জন্য এটি একটি কঠিনতম কাজ। সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া, কোচিংয়ে আনা-নেওয়া এই করতেই তো দিন শেষ। তারপর প্রতিদিনের অবিস্মরণীয় জ্যাম!

বাবা-মায়ের এই কষ্টটুকু যদি অন্তত সব সন্তান বুঝতো, তারা একটু হলেও শান্তি পেত! আর ঢাকা শহরে সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালানোর ব্যাপারটা তো বলারই অপেক্ষা রাখে না।

আমার বিশ্বাস, আমাদের বাবা-মা আমাদের মানুষ করার জন্য যে যুদ্ধ করেছেন, আমরা তাদের চেয়ে বেশি বৈকি কম যুদ্ধ করছি না আমাদের সন্তানকে মানুষ করার জন্য।

অবশ্য যেসব অতি বিত্তশালী বাবা-মা, শুধুই বাসার ড্রাইভার বা কাজের বুয়াকে দিয়ে তাদের সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া করান তাদের কথা আলাদা।

কোনো প্রতিদান চাই না কারো কাছে। শুধু নগরপিতার কাছে প্রার্থনা- রাস্তার জ্যামটা কমানোর জন্য কি কোনো আশু পদক্ষেপ নেওয়া যায়? যে কোনোভাবে সঠিক নিয়মে ঢাকা শহরের গাড়িগুলো চালানোর ব্যবস্থা করা যায় না? যেহেতু প্রয়োজনীয় কর পরিশোধ করেই এ শহরে থাকি, আমার এ চাওয়াটুকু মনে হয় অহেতুক নয়। প্রতিদিনের জ্যামে ওষ্ঠাগত প্রাণ।’

Please Share This Post in Your Social Media


জ্যামে অতিষ্ঠ হয়ে নগর পিতার কাছে যে আবেদন চঞ্চল চৌধুরীর

Update Time : ১২:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

 

ঢাকা শহরে প্রতিদিনের যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি।

তার স্ট্যাটাসটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়া হলো-

‘খুব আফসোস হয়, ছোটবেলায় আমাদের বাবা-মা কোনোদিনই স্কুলে আনা-নেওয়া করেননি। গ্রামের স্কুল তো, দল বেঁধে সব ছেলেমেয়ে একসঙ্গে, এক মাইল হেঁটে স্কুলে যেতাম আসতাম। ঢাকা শহরের বাবা-মায়েদের জন্য এটি একটি কঠিনতম কাজ। সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া, কোচিংয়ে আনা-নেওয়া এই করতেই তো দিন শেষ। তারপর প্রতিদিনের অবিস্মরণীয় জ্যাম!

বাবা-মায়ের এই কষ্টটুকু যদি অন্তত সব সন্তান বুঝতো, তারা একটু হলেও শান্তি পেত! আর ঢাকা শহরে সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালানোর ব্যাপারটা তো বলারই অপেক্ষা রাখে না।

আমার বিশ্বাস, আমাদের বাবা-মা আমাদের মানুষ করার জন্য যে যুদ্ধ করেছেন, আমরা তাদের চেয়ে বেশি বৈকি কম যুদ্ধ করছি না আমাদের সন্তানকে মানুষ করার জন্য।

অবশ্য যেসব অতি বিত্তশালী বাবা-মা, শুধুই বাসার ড্রাইভার বা কাজের বুয়াকে দিয়ে তাদের সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া করান তাদের কথা আলাদা।

কোনো প্রতিদান চাই না কারো কাছে। শুধু নগরপিতার কাছে প্রার্থনা- রাস্তার জ্যামটা কমানোর জন্য কি কোনো আশু পদক্ষেপ নেওয়া যায়? যে কোনোভাবে সঠিক নিয়মে ঢাকা শহরের গাড়িগুলো চালানোর ব্যবস্থা করা যায় না? যেহেতু প্রয়োজনীয় কর পরিশোধ করেই এ শহরে থাকি, আমার এ চাওয়াটুকু মনে হয় অহেতুক নয়। প্রতিদিনের জ্যামে ওষ্ঠাগত প্রাণ।’