অভিনেতা রাজীবের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- Update Time : ১২:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
- / 198
বিনোদন ডেস্কঃ
আজ ১৪ নভেম্বর (রোববার) ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের শক্তিমান অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীবের চলে যাওয়ার দিন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৪ সালের এই দিনে চিরতরে না ফেরার দেশে চলে যান এই কিংবদন্তি অভিনেতা। তার মৃত্যুতে সেদিন শোকে স্তব্ধ হয়েছিলেন অসংখ্য ভক্ত।
প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই খল অভিনেতা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে ‘রাজীব’ নামেই বেশি পরিচিত । ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সিনেমায় আসার আগে তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক তার। তারকাখ্যাতি পান এরপরের বছর কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘খোকনসোনা’ সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে।
খলনায়ক হিসেবে সফল হলেও ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন রাজীব। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে-হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, ভাত দে, অনন্ত ভালোবাসা, রাজা শিকদার ও বুকের ভেতর আগুন, সাহসী মানুষ চাই, বিদ্রোহ চারিদিকে, দাঙ্গা প্রভৃতি।
অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজীব শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রাজীব। সিনেমাগুলো হলো- হীরামতি (১৯৮৮), দাঙ্গা (১৯৯১), বিদ্রোহ চারিদিকে (২০০০), সাহসী মানুষ চাই (২০০৩)।
অভিনয়ের পাশাপাশি নেতৃত্বেও অসামান্য গুণের অধিকারী ছিলেন রাজীব। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বা বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস)-এর প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন রাজীব।
রাজীব বিয়ে করেছিলেন ইসমত আরাকে। তাদের সুখের সংসারে জন্মগ্রহণ করেছিল পাঁচ সন্তান। কিন্তু প্রথম দুটি ছেলে (তারা জমজ ছিলেন) ১৯৯৬ সালে এক নৌকা দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন। বর্তমানে বেঁচে আছেন তৃতীয় ছেলে সায়নুল বারী দ্বীপ এবং দুই মেয়ে রানিসা রাজীব ও রাইসা রাজীব।