মরণোত্তর চক্ষুদানে ৪ জনের চোখের আলো ফেরালেন পুনিত

  • Update Time : ১১:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • / 155

বিনোদন ডেস্ক: 

গত শুক্রবার মারা গেছেন ভারতীয় কন্নড় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা পুনিত রাজকুমার। দক্ষিণী এই সুপারস্টার মৃত্যুর পরেও আলো ছড়িয়ে গেলেন। তার চক্ষুদানে জ্যোতি ফিরল চারজনের।

মরণোত্তর চক্ষুদান পুনিতের পারিবারিক ঐতিহ্য। ২০০৬ সালে মারা যান তার বাবা সুপারস্টার রাজকুমার। মা পার্বতাম্মার মৃত্যু হয় ২০১৭-তে। দুজনেই চক্ষুদান করেছেন। তাই পুনিতের মৃত্যুশোকেও হাসপাতালকে খবর দিতে দেরি করেননি ভাই রাঘবেন্দ্র। অভিনেতার চোখ জোড়া সংগ্রহের জন্য চক্ষুব্যাংকে ফোন করেন তিনি।

নারায়ণ নেত্রালয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেকটর ভুজাঙ্গ শেট্টি জানান, ‌আমি রাঘবেন্দ্র রাজকুমারের ফোন পাই। তিনি তাড়াতাড়ি এসে চক্ষু সংগ্রহ করতে বলেন। পুনিতকে বিক্রম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন। ফলে কীভাবে ঠিক সময়ে পৌঁছানো যাবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল রাঘবেন্দ্র। অ্যাম্বুল্যান্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

পুনিতের দুটি কর্নিয়া থেকে চোখের আলো পেয়েছেন চারজন। শেট্টি বলেন, আমরা কর্নিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করেছি। যাদের চোখে অগ্রভাগে সমস্যা রয়েছে তাদের সামনের দিকের অংশ দেওয়া হয়েছে। পেছনের দিকে সমস্যা থাকা ব্যক্তিরা পেয়েছেন পেছনের অংশ। এর আগে এমনটা করিনি। একইদিনে একজনের চোখে চারজনের চোখের জ্যোতি ফিরল।

অপারেশন করতে ৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে। ছয়জনের কর্নিয়া বিশেষজ্ঞদের দল তিনটি অপারেশন থিয়েটারে এ অপারেশন করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মরণোত্তর চক্ষুদানে ৪ জনের চোখের আলো ফেরালেন পুনিত

Update Time : ১১:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেস্ক: 

গত শুক্রবার মারা গেছেন ভারতীয় কন্নড় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা পুনিত রাজকুমার। দক্ষিণী এই সুপারস্টার মৃত্যুর পরেও আলো ছড়িয়ে গেলেন। তার চক্ষুদানে জ্যোতি ফিরল চারজনের।

মরণোত্তর চক্ষুদান পুনিতের পারিবারিক ঐতিহ্য। ২০০৬ সালে মারা যান তার বাবা সুপারস্টার রাজকুমার। মা পার্বতাম্মার মৃত্যু হয় ২০১৭-তে। দুজনেই চক্ষুদান করেছেন। তাই পুনিতের মৃত্যুশোকেও হাসপাতালকে খবর দিতে দেরি করেননি ভাই রাঘবেন্দ্র। অভিনেতার চোখ জোড়া সংগ্রহের জন্য চক্ষুব্যাংকে ফোন করেন তিনি।

নারায়ণ নেত্রালয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেকটর ভুজাঙ্গ শেট্টি জানান, ‌আমি রাঘবেন্দ্র রাজকুমারের ফোন পাই। তিনি তাড়াতাড়ি এসে চক্ষু সংগ্রহ করতে বলেন। পুনিতকে বিক্রম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন। ফলে কীভাবে ঠিক সময়ে পৌঁছানো যাবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল রাঘবেন্দ্র। অ্যাম্বুল্যান্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

পুনিতের দুটি কর্নিয়া থেকে চোখের আলো পেয়েছেন চারজন। শেট্টি বলেন, আমরা কর্নিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করেছি। যাদের চোখে অগ্রভাগে সমস্যা রয়েছে তাদের সামনের দিকের অংশ দেওয়া হয়েছে। পেছনের দিকে সমস্যা থাকা ব্যক্তিরা পেয়েছেন পেছনের অংশ। এর আগে এমনটা করিনি। একইদিনে একজনের চোখে চারজনের চোখের জ্যোতি ফিরল।

অপারেশন করতে ৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে। ছয়জনের কর্নিয়া বিশেষজ্ঞদের দল তিনটি অপারেশন থিয়েটারে এ অপারেশন করেন।