নিরাপত্তাকর্মীদেরও বেতন-বোনাস দেয়নি ইভ্যালি

  • Update Time : ১০:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
  • / 195

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ আছে ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়। হটলাইনে ফোন করেও কাউকে না পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে পণ্য নিতে অনেক গ্রাহকই আসছেন প্রতিষ্ঠানটির রাজধানীর সোবহানবাগে অবস্থিত কার্যালয়টিতে। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ শ গ্রাহক ছাড়াও পাওনা টাকা নিতে মার্চেন্টরাও যাচ্ছেন সেখানে। এসব সামলাতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে ভবনটিতে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীদের।

তবে সেই নিরপত্তাকর্মীদের জুন মাসের বেতন এবং ঈদুল আজহার বোনাস এখনও দিতে পারেনি ইভ্যালি।

শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে ইভ্যালির কার্যালয়ে ছিল সুনসান নীরবতা। তবে পাওনা পণ্যের খোঁজে ভবনটির আশেপাশে অনেককেই ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, ইভ্যালির নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী। তাদের কেউই গত মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পাননি। কবে পাবেন তাও জানেন না। এদিকে, গত ২৭ জুন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ‘হোম অফিস’ করছেন। নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি যোগাযোগ করছেন না।

নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ জানান, গত মাসেই তিনি ইভ্যালিতে যোগ দেন। কিন্তু চলতি মাসের ১৭ তারিখ হয়ে গেলেও বেতন-বোনাস কিছুই পাননি।

আরেক নিরাপত্তা কর্মী জানান, কারোই জুন মাসের বেতন হয়নি, বোনাসও হয়নি। তবে অন্যান্য সময় মাসের শুরুতেই বেতন-বোনাস হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, জুন মাসের ১২ হাজার টাকা বেতন এখনও হাতে পাননি। ঈদের আগে এখন বোনাসও নেই। কারণ ২৭ জুন থেকে কর্মকর্তারা হোম অফিস করার কথা বলে অফিস খুলছেন না।

ইব্রাহীম নামের আরেক নিরাপত্তাকর্মী জানান, বেতন না পাওয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বেতন-বোনাস না পাওয়ায় ঈদে বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে কিছু চিন্তা করতে পারেননি।

এ ব্যাপারে জানতে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন এবং প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ শাখায় একাধিকবার ফোন করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম এবং মার্চেন্টের পাওনা প্রায় ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ ও পাচারের’ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর অংশ হিসেবে রাসেল ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। বেশ কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে লেনদেনের বিষয়ে সতর্ক করেছে গ্রাহকদের। পাশাপাশি টাকা না পাওয়ায় সরবরাহকারীদের কেউ কেউ ইভ্যালির দেয়া গিফট ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছেন না।

Please Share This Post in Your Social Media


নিরাপত্তাকর্মীদেরও বেতন-বোনাস দেয়নি ইভ্যালি

Update Time : ১০:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ আছে ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়। হটলাইনে ফোন করেও কাউকে না পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে পণ্য নিতে অনেক গ্রাহকই আসছেন প্রতিষ্ঠানটির রাজধানীর সোবহানবাগে অবস্থিত কার্যালয়টিতে। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ শ গ্রাহক ছাড়াও পাওনা টাকা নিতে মার্চেন্টরাও যাচ্ছেন সেখানে। এসব সামলাতে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে ভবনটিতে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীদের।

তবে সেই নিরপত্তাকর্মীদের জুন মাসের বেতন এবং ঈদুল আজহার বোনাস এখনও দিতে পারেনি ইভ্যালি।

শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে ইভ্যালির কার্যালয়ে ছিল সুনসান নীরবতা। তবে পাওনা পণ্যের খোঁজে ভবনটির আশেপাশে অনেককেই ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, ইভ্যালির নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী। তাদের কেউই গত মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পাননি। কবে পাবেন তাও জানেন না। এদিকে, গত ২৭ জুন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ‘হোম অফিস’ করছেন। নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি যোগাযোগ করছেন না।

নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ জানান, গত মাসেই তিনি ইভ্যালিতে যোগ দেন। কিন্তু চলতি মাসের ১৭ তারিখ হয়ে গেলেও বেতন-বোনাস কিছুই পাননি।

আরেক নিরাপত্তা কর্মী জানান, কারোই জুন মাসের বেতন হয়নি, বোনাসও হয়নি। তবে অন্যান্য সময় মাসের শুরুতেই বেতন-বোনাস হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, জুন মাসের ১২ হাজার টাকা বেতন এখনও হাতে পাননি। ঈদের আগে এখন বোনাসও নেই। কারণ ২৭ জুন থেকে কর্মকর্তারা হোম অফিস করার কথা বলে অফিস খুলছেন না।

ইব্রাহীম নামের আরেক নিরাপত্তাকর্মী জানান, বেতন না পাওয়ায় তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বেতন-বোনাস না পাওয়ায় ঈদে বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে কিছু চিন্তা করতে পারেননি।

এ ব্যাপারে জানতে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন এবং প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ শাখায় একাধিকবার ফোন করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম এবং মার্চেন্টের পাওনা প্রায় ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ ও পাচারের’ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর অংশ হিসেবে রাসেল ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। বেশ কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে লেনদেনের বিষয়ে সতর্ক করেছে গ্রাহকদের। পাশাপাশি টাকা না পাওয়ায় সরবরাহকারীদের কেউ কেউ ইভ্যালির দেয়া গিফট ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছেন না।