বিদ্যুতের সঞ্চালন, বিতরণ ও দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস আহরণে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ১০০টির বেশি প্রকল্প বাস্তবায়নে। এছাড়া, বিদ্যুৎ-জ্বালানির লোকসান সামাল দিতে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে ভর্তুকি হিসেবে।
.
খরচের খাত হিসেবে সরকারের এক নম্বর মেগা প্রকল্প এখন নির্মাণাধীন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আগামী বাজটে এর জন্য বরাদ্দ থাকছে ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প খাতভিত্তিক বরাদ্দে ন্যস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগে। সর্বোচ্চ বরাদ্দে তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে মাতারবাড়ি ১২ শ’ মেগাওয়াট কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ৯ নম্বরে ডিপিসিরি বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প।
বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগের ৭৩টি নিজস্ব প্রকল্প পাবে ২৬ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। ২৫ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাকি ৭৭০ কোটি টাকা আসবে বিদ্যুৎ বিভাগের নিজস্ব তহবিল থেকে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এবারের বাজেট মূলত ট্রান্সমিশন এবং ড্রিসটিবিশনকে ঘিরে। বৃহত্তর ময়মনসিংহে আমাদের অনেকগুলো কাজ বাকি আছে। এছাড়া দিনাজপুরেও কয়েকটি কাজ চলছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ পাবে, ২ হাজার ৮শ’ ৬০ কোটি টাকা। বাস্তবায়ন হবে ২৮টি প্রকল্প। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব প্রকল্পের খরচের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকেই দেয়া হবে। নিজেদের তহবিল থেকেই আমরা কাজ করছি,সরকার ছয়-সাতশ কোটি টাকার মত দিচ্ছে।
তবে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বরাদ্দ বাড়ানোর চেয়ে টাকা খরচে স্বচ্ছতা বেশি দরকার বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, এ খাত থেকে যদি দুর্নীতি নিরোধ করা যায় পরিচালনায় যদি সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায় তাহলে আমি মনে করি অনেক কম অর্থ ব্যয় করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ খাত কিন্তু যথেষ্ট স্বচ্ছল। এই খাতের যদি অগ্রগতি দেখা হয় তাহলে বাজেট বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে প্রশ্ন সমিচিন হবে না।
বেসরকারি কেন্দ্র থেকে চড়া দামের বিদ্যুৎ কিনে লোকসানে বিক্রি করে বিদ্যুৎ বিভাগ। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাড়তি দামের জ্বালানি কিনতেও ভর্তুকি লাগে। এসব সমন্বয় করতেই আসছে বাজেটে সরকারেরর ব্যয় বরাদ্দ থাকছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা।