চাঁদপুরের বাঘেরচরে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষিতে বিনিয়োগ করবে চীন

  • Update Time : ১০:১৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 152

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, পাওয়ার চায়না গ্রুপের সঙ্গে কৃষিতে বিনিয়োগের একটি চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা)। চাঁদপুরের বাঘেরচরে তারা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক সোলার প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষ করবেন সেখানে।

রোববার বিডার কার্যালয়ের চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দিনব্যাপী কনফারেন্স শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘পাওয়ার চায়নার সঙ্গে আমরা দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি করেছি। চাঁদপুরের বাঘেরচরে কৃষিভিত্তিক একটি প্রকল্পের জন্য আমরা চুক্তি করেছি। এ প্রকল্পটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই কাজ হচ্ছিল। আমরা এসে এটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছি। সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এটি এগোচ্ছিল না। বেজার কর্মকর্তাদের সহায়তায় পাওয়ার চায়নাও আমাদের এক্ষেত্রে অনেক সহায়তা করেছে।’

এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষি চাষটি হবে মূলত সোলারভিত্তিক, এমন তথ্য জানিয়ে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘এ চুক্তির পর চীনের ওই কোম্পানি চাঁদপুরের ওই এলাকায় গিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল চাষ করবে। এটার ধারণাটি হলো যেসব কৃষিপণ্য ছায়াতেও হয়, ছায়া থাকলেও চাষ করা যায়- সে হিসেবে সেখানে তারা শিল্পের মতো করে সোলার প্ল্যান্ট বসাবে। এসব কৃষি প্রযুক্তির কারণে ওই এলাকায় কর্মসংস্থানও বাড়বে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘চীন-বাংলাদেশ কনফারেন্স অন ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীন থেকে অনেক বিনিয়োগকারী নিয়ে এসেছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী। আজ সর্বমোট ১৪৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। বাংলাদেশেরও অনেক ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৫০০’র বেশি অতিথি ছিলেন।

কয়েকটি বিশেষ কোম্পানির নাম উল্লেখ করে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘টেক্সটাইলে হংজু গ্রুপ, ফ্লুইড প্রোডাকশনের মেইডে গ্রুপ, সোলার খাতের গুয়ানতাই এনার্জি কোম্পানি, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের পাওয়ার চায়না এসেছে। পাওয়ার চায়না আগেও কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য কাজ করেছে। সবচেয়ে বড় মেটালজিকাল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মেটালজিকাল করপোরেশন অব চায়না লিমিটেড অংশ নিয়েছে। কৃষি খাতের বড় কোম্পানিও এখানে এসেছেন- বিশেষ করে সিন শি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড ও ফরচুন ফাইভ হান্ড্রেডের ছয়টি কোম্পানি এখানে অংশ নিয়েছে। চারটি চেম্বার অব কমার্স থেকে তারা এখানে এসেছিলেন।’

জিটুজি ও বিটুবি অনেক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। যেভাবে আমরা আগে বলেছিলাম- দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে মূলত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশে ভালো বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media


চাঁদপুরের বাঘেরচরে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষিতে বিনিয়োগ করবে চীন

Update Time : ১০:১৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, পাওয়ার চায়না গ্রুপের সঙ্গে কৃষিতে বিনিয়োগের একটি চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা)। চাঁদপুরের বাঘেরচরে তারা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক সোলার প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষ করবেন সেখানে।

রোববার বিডার কার্যালয়ের চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দিনব্যাপী কনফারেন্স শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘পাওয়ার চায়নার সঙ্গে আমরা দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি করেছি। চাঁদপুরের বাঘেরচরে কৃষিভিত্তিক একটি প্রকল্পের জন্য আমরা চুক্তি করেছি। এ প্রকল্পটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই কাজ হচ্ছিল। আমরা এসে এটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছি। সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এটি এগোচ্ছিল না। বেজার কর্মকর্তাদের সহায়তায় পাওয়ার চায়নাও আমাদের এক্ষেত্রে অনেক সহায়তা করেছে।’

এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষি চাষটি হবে মূলত সোলারভিত্তিক, এমন তথ্য জানিয়ে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘এ চুক্তির পর চীনের ওই কোম্পানি চাঁদপুরের ওই এলাকায় গিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল চাষ করবে। এটার ধারণাটি হলো যেসব কৃষিপণ্য ছায়াতেও হয়, ছায়া থাকলেও চাষ করা যায়- সে হিসেবে সেখানে তারা শিল্পের মতো করে সোলার প্ল্যান্ট বসাবে। এসব কৃষি প্রযুক্তির কারণে ওই এলাকায় কর্মসংস্থানও বাড়বে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘চীন-বাংলাদেশ কনফারেন্স অন ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীন থেকে অনেক বিনিয়োগকারী নিয়ে এসেছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী। আজ সর্বমোট ১৪৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। বাংলাদেশেরও অনেক ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৫০০’র বেশি অতিথি ছিলেন।

কয়েকটি বিশেষ কোম্পানির নাম উল্লেখ করে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘টেক্সটাইলে হংজু গ্রুপ, ফ্লুইড প্রোডাকশনের মেইডে গ্রুপ, সোলার খাতের গুয়ানতাই এনার্জি কোম্পানি, অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের পাওয়ার চায়না এসেছে। পাওয়ার চায়না আগেও কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য কাজ করেছে। সবচেয়ে বড় মেটালজিকাল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মেটালজিকাল করপোরেশন অব চায়না লিমিটেড অংশ নিয়েছে। কৃষি খাতের বড় কোম্পানিও এখানে এসেছেন- বিশেষ করে সিন শি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড ও ফরচুন ফাইভ হান্ড্রেডের ছয়টি কোম্পানি এখানে অংশ নিয়েছে। চারটি চেম্বার অব কমার্স থেকে তারা এখানে এসেছিলেন।’

জিটুজি ও বিটুবি অনেক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। যেভাবে আমরা আগে বলেছিলাম- দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে মূলত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশে ভালো বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছি।