মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ডলার

  • Update Time : ১০:২৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • / 40

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গত মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড করে।

এবার আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে চলতি মে মাসেও অব্যাহত রয়েছে সেই ধারা। চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) এই অঙ্ক ১৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এই হিসাবে দেশে প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে ১৬১ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, চলতি অর্থবছরের ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৭ মে পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২৫ হাজার ২৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে আসা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ হাজার ৭২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এরপর সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। পরের মাস নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার। এরপর চলতি বছরের জানুয়া‌রি‌তে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পা‌ঠি‌য়েছেন প্রবাসীরা।

আর গত মার্চে দেশে এসেছে ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো এক মাসের সর্বোচ্চ। আর সর্বশেষ এপ্রিল মাসে দেশে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media


মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ডলার

Update Time : ১০:২৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে গত মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড করে।

এবার আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে চলতি মে মাসেও অব্যাহত রয়েছে সেই ধারা। চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) এই অঙ্ক ১৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এই হিসাবে দেশে প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে ১৬১ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, চলতি অর্থবছরের ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৭ মে পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২৫ হাজার ২৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে আসা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ হাজার ৭২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এরপর সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। পরের মাস নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার। এরপর চলতি বছরের জানুয়া‌রি‌তে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পা‌ঠি‌য়েছেন প্রবাসীরা।

আর গত মার্চে দেশে এসেছে ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো এক মাসের সর্বোচ্চ। আর সর্বশেষ এপ্রিল মাসে দেশে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।