ইসলামী অর্থনীতি বিকাশে কাজ করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ: কামালুদ্দিন জাফরী

  • Update Time : ০৭:২৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 31

ইসলামী অর্থনীতি বিকাশে কাজ করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমন মন্তব্য করেছেন সেন্ট্রাল শরীয়াহ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামালুদ্দিন জাফরী।

শনিবার (১২ অক্টোবর) কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান

এসময় কামালুদ্দিন জাফরী বলেন, লাইফ বীমার মূল কথা হলো দাওয়া (কমিউনিকেশন); একজনকে আহবান করা। ইসলামী অর্থনীতির জন্য মানুষকে আহবান করা। বীমা কোম্পানিতে মুসলিম-অমুসলিম সবার জন্য কাজ করা হয়। এতে একদিকে অর্থনীতির কল্যাণে কাজ করা হয় এবং অন্যদিকে দাওয়ার কাজ করা হয়। কারণ, অমুসলিমরাও জানবে-বুঝবে, কেন এটা ইসলাম হলো। ইসলামী বীমার মাধ্যমে মানুষকে ইসলামী অর্থনীতির দিকে আহবান করা হয়।

তিনি বলেন, এই কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী একজন যোগ্য লোক। তার জ্ঞান, নির্বাহী ক্ষমতা এবং অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটি– সব কিছু মিলিয়ে তিনি জেনিথ ইসলামী লাইফকে এগিয়ে নিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের জনসাধারণের দোরগোড়ায় বীমা সুবিধা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ ও সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে কোম্পানিটি গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, দেশের বীমা খাতে জেনিথ ইসলামী লাইফ সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক একটি অন্যতম লাইফ বীমা কোম্পানি। যার বিনিয়োগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ হাজার এবং বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের দাবি পরিশোধ করার পর বিনিয়োগের এই পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।

তিনি জানান, একক বীমায় কোম্পানির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৯৭ গ্রাহকের মৃত্যুদাবির মাধ্যমে ২ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ৫৪১ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। গ্রুপ বীমায় ৫৩ গ্রাহকের মৃত্যুদাবির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য বীমায় ২ হাজার ৩০৯ গ্রাহকের দাবির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫২২ টাকা।

এছাড়াও ২৫০ এর অধিক গ্রাহকের মেয়াদোত্তর দাবির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৬০ টাকা। ৪ হাজার ৬৭২ গ্রাহককে এসবি’র মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ১৮ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৩ টাকা। সমর্পণমূল্য বাবদ ১৯৪ গ্রাহককে ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩০০ টাকা এবং কোম্পানির ৭৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ টাকা। কোম্পানির ৭ হাজার ৬৫৯ গ্রাহককে দাবি বাবদ ২৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ১ হাজার ২৯৬ টাকা পরিশোধ করেছে। এই মুহূর্তে কোন প্রকার দাবি পেন্ডিং নাই বলেন উল্লেখ করেন তিনি।

বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনিথ ইসলামী লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম এনায়েত উল্লাহ, বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান মো. ছায়েদুর রহমান, কোম্পানির নিরপেক্ষ পরিচালক ও নমিনেশন এন্ড রেমুনারেশন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মোরতুজা আলী, গ্রাহক সুরক্ষা ও অভিযোগ প্রতিকার কমিটির চেয়ারম্যান কাজী ওয়ালী উদ্দীন ফয়সাল, বিজ্ঞ আইনজীবি ও শরীয়াহ বোর্ড সদস্য সাইয়্যেদ জারীর জাফরী এবং অ্যাকচুয়ারি বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও আহমেদ ইমরান লস্কর।

বার্ষিক সম্মেলনে সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত কোম্পানির ৮ শতাধিক ব্যবসা সফল উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ প্রধান কার্যালয়ের সকল বিভাগীয় প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে গ্রাহকদের মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তর ও স্বাস্থ্য বীমা দাবির চেক বিতরণ, প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও উন্নয়ন কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media


ইসলামী অর্থনীতি বিকাশে কাজ করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ: কামালুদ্দিন জাফরী

Update Time : ০৭:২৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ইসলামী অর্থনীতি বিকাশে কাজ করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমন মন্তব্য করেছেন সেন্ট্রাল শরীয়াহ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সাইয়্যেদ কামালুদ্দিন জাফরী।

শনিবার (১২ অক্টোবর) কক্সবাজারে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এস এম নুরুজ্জামান

এসময় কামালুদ্দিন জাফরী বলেন, লাইফ বীমার মূল কথা হলো দাওয়া (কমিউনিকেশন); একজনকে আহবান করা। ইসলামী অর্থনীতির জন্য মানুষকে আহবান করা। বীমা কোম্পানিতে মুসলিম-অমুসলিম সবার জন্য কাজ করা হয়। এতে একদিকে অর্থনীতির কল্যাণে কাজ করা হয় এবং অন্যদিকে দাওয়ার কাজ করা হয়। কারণ, অমুসলিমরাও জানবে-বুঝবে, কেন এটা ইসলাম হলো। ইসলামী বীমার মাধ্যমে মানুষকে ইসলামী অর্থনীতির দিকে আহবান করা হয়।

তিনি বলেন, এই কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী একজন যোগ্য লোক। তার জ্ঞান, নির্বাহী ক্ষমতা এবং অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটি– সব কিছু মিলিয়ে তিনি জেনিথ ইসলামী লাইফকে এগিয়ে নিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের জনসাধারণের দোরগোড়ায় বীমা সুবিধা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ ও সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে কোম্পানিটি গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, দেশের বীমা খাতে জেনিথ ইসলামী লাইফ সম্পূর্ণ অনলাইন ভিত্তিক একটি অন্যতম লাইফ বীমা কোম্পানি। যার বিনিয়োগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ হাজার এবং বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের দাবি পরিশোধ করার পর বিনিয়োগের এই পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।

তিনি জানান, একক বীমায় কোম্পানির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৯৭ গ্রাহকের মৃত্যুদাবির মাধ্যমে ২ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ৫৪১ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। গ্রুপ বীমায় ৫৩ গ্রাহকের মৃত্যুদাবির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য বীমায় ২ হাজার ৩০৯ গ্রাহকের দাবির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫২২ টাকা।

এছাড়াও ২৫০ এর অধিক গ্রাহকের মেয়াদোত্তর দাবির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৬০ টাকা। ৪ হাজার ৬৭২ গ্রাহককে এসবি’র মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে ১৮ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৩ টাকা। সমর্পণমূল্য বাবদ ১৯৪ গ্রাহককে ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩০০ টাকা এবং কোম্পানির ৭৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ টাকা। কোম্পানির ৭ হাজার ৬৫৯ গ্রাহককে দাবি বাবদ ২৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ১ হাজার ২৯৬ টাকা পরিশোধ করেছে। এই মুহূর্তে কোন প্রকার দাবি পেন্ডিং নাই বলেন উল্লেখ করেন তিনি।

বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনিথ ইসলামী লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম এনায়েত উল্লাহ, বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান মো. ছায়েদুর রহমান, কোম্পানির নিরপেক্ষ পরিচালক ও নমিনেশন এন্ড রেমুনারেশন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মোরতুজা আলী, গ্রাহক সুরক্ষা ও অভিযোগ প্রতিকার কমিটির চেয়ারম্যান কাজী ওয়ালী উদ্দীন ফয়সাল, বিজ্ঞ আইনজীবি ও শরীয়াহ বোর্ড সদস্য সাইয়্যেদ জারীর জাফরী এবং অ্যাকচুয়ারি বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও আহমেদ ইমরান লস্কর।

বার্ষিক সম্মেলনে সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত কোম্পানির ৮ শতাধিক ব্যবসা সফল উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ প্রধান কার্যালয়ের সকল বিভাগীয় প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে গ্রাহকদের মৃত্যুদাবি, মেয়াদোত্তর ও স্বাস্থ্য বীমা দাবির চেক বিতরণ, প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও উন্নয়ন কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়।