৭ বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার স্থানান্তর বন্ধ করল এনবিআর

  • Update Time : ০৫:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 10

কর দেওয়া নিশ্চিত করতে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে বিশেষ সুযোগ পাওয়া এস আলম ও বেক্সিমকো গ্রুপসহ সাত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার স্থানান্তর (কেনা-বেচা ও দান) বন্ধ করতে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে (আরজেএসসি) নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আরজেএসসির সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) চিঠিতে বলা হয়েছে—বসুন্ধরা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, নাসা গ্রুপ ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের (নগদ লিমিটেড) শেয়ার স্থানান্তর (কেনা-বেচা ও দান) বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর।

সিআইসি জানিয়েছে, কর ফাঁকি বন্ধে কারো সম্পত্তি সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা তাদের আছে।

এতে আরও বলা হয়, ‘এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকিসহ আর্থিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ আছে। জাতীয় স্বার্থে আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নতুন এই নির্দেশনার এক মাস আগে এসব প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো কর দিয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে তাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে কর অফিস ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল।

যাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন—বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম।

গত আগস্টে ব্যাংকগুলোয় পাঠানো চিঠিতে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে এসব ব্যবসায়ীর মেয়াদি আমানত, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, বিদেশি মুদ্রা হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, লকার ও ভল্টের তথ্য জানতে চায় এনবিআর।

গত আগস্টে এনবিআরের দুটি ফিল্ড অফিস থেকে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়।

এ ছাড়াও, এস আলম গ্রুপের ১৮ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট অডিটের জন্য ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম চারটি টিম গঠন করে।

গত আগস্টে জারি করা আরেকটি চিঠিতে কর কর্তৃপক্ষ বলেছিল, আয়কর আইন-২০২৩ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর আওতায় সিআইসি উল্লেখযোগ্য সম্পদ অর্জনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে বিশেষ তদন্ত শুরু করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

৭ বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার স্থানান্তর বন্ধ করল এনবিআর

Update Time : ০৫:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

কর দেওয়া নিশ্চিত করতে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে বিশেষ সুযোগ পাওয়া এস আলম ও বেক্সিমকো গ্রুপসহ সাত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার স্থানান্তর (কেনা-বেচা ও দান) বন্ধ করতে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে (আরজেএসসি) নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আরজেএসসির সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) চিঠিতে বলা হয়েছে—বসুন্ধরা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, নাসা গ্রুপ ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেডের (নগদ লিমিটেড) শেয়ার স্থানান্তর (কেনা-বেচা ও দান) বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর।

সিআইসি জানিয়েছে, কর ফাঁকি বন্ধে কারো সম্পত্তি সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা তাদের আছে।

এতে আরও বলা হয়, ‘এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকিসহ আর্থিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ আছে। জাতীয় স্বার্থে আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নতুন এই নির্দেশনার এক মাস আগে এসব প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো কর দিয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে তাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে কর অফিস ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল।

যাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন—বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম।

গত আগস্টে ব্যাংকগুলোয় পাঠানো চিঠিতে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে এসব ব্যবসায়ীর মেয়াদি আমানত, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, বিদেশি মুদ্রা হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, লকার ও ভল্টের তথ্য জানতে চায় এনবিআর।

গত আগস্টে এনবিআরের দুটি ফিল্ড অফিস থেকে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়।

এ ছাড়াও, এস আলম গ্রুপের ১৮ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট অডিটের জন্য ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম চারটি টিম গঠন করে।

গত আগস্টে জারি করা আরেকটি চিঠিতে কর কর্তৃপক্ষ বলেছিল, আয়কর আইন-২০২৩ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর আওতায় সিআইসি উল্লেখযোগ্য সম্পদ অর্জনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে বিশেষ তদন্ত শুরু করেছে।