বিএসইসি’র নির্দেশনা মানেনি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ

  • Update Time : ০৫:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / 52

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে থাকা অবন্টিত ডিভিডেন্ড বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে হস্তান্তর করেনি।

কোম্পানিটির নিরীক্ষক জানিয়েছেন, গত ১৪ বছর যাবত কোম্পানিটিতে ২৪ লাখ টাকার অবন্টিত ডিভিডেন্ড রয়েছে। যা অপ্রদানকৃত অবস্থায় থাকার পরেও বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর করেনি কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া, কোম্পানিটির মজুদ পণ্য ও স্থায়ী সম্পদের সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক। কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে ২০২৩ সালের ৩০ জুন দেখানো মজুদ পণ্যের অস্তিত্ব ও সঠিক মূল্য নিয়েও নিরীক্ষক নিশ্চিত নন। কারণ নিরীক্ষককে কোম্পানিটি দেরিতে নিয়োগ দিয়েছে।

এদিকে, ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে মজুদ পণ্যের সত্যতা যাচাইয়ে নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার অন্য কোন বিকল্প প্রয়োগ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সম্পদ কেনার তারিখ, ব্যয়, অবচয় হার, অবচয় শেষে মূল্য ইত্যাদি বিষয়ে ফিক্সড অ্যাসেট রেজিস্টার নিরীক্ষককে দিতে পারেনি। ফলে নিরীক্ষক স্থায়ী সম্পদের মূল্যের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬৯.৭৪ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিএসইসি’র নির্দেশনা মানেনি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ

Update Time : ০৫:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে থাকা অবন্টিত ডিভিডেন্ড বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে হস্তান্তর করেনি।

কোম্পানিটির নিরীক্ষক জানিয়েছেন, গত ১৪ বছর যাবত কোম্পানিটিতে ২৪ লাখ টাকার অবন্টিত ডিভিডেন্ড রয়েছে। যা অপ্রদানকৃত অবস্থায় থাকার পরেও বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে স্থানান্তর করেনি কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া, কোম্পানিটির মজুদ পণ্য ও স্থায়ী সম্পদের সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক। কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে ২০২৩ সালের ৩০ জুন দেখানো মজুদ পণ্যের অস্তিত্ব ও সঠিক মূল্য নিয়েও নিরীক্ষক নিশ্চিত নন। কারণ নিরীক্ষককে কোম্পানিটি দেরিতে নিয়োগ দিয়েছে।

এদিকে, ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে মজুদ পণ্যের সত্যতা যাচাইয়ে নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার অন্য কোন বিকল্প প্রয়োগ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সম্পদ কেনার তারিখ, ব্যয়, অবচয় হার, অবচয় শেষে মূল্য ইত্যাদি বিষয়ে ফিক্সড অ্যাসেট রেজিস্টার নিরীক্ষককে দিতে পারেনি। ফলে নিরীক্ষক স্থায়ী সম্পদের মূল্যের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬৯.৭৪ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে।