কৃষি ও প্রাণী সম্পদ খাতে ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

  • Update Time : ০৫:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
  • / 153

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে কৃষি উৎপাদন ও উপকরণে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি, খাদ্য ও প্রাণী সম্পদ খাতে জন্য ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যা পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। আমদানি-নির্ভর রাসায়নিক সারে দেয়া হচ্ছে বড় আকারের ভর্তুকি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সারের দাম। আর এতে বড় ধরনের ভর্তুকির চাপে পড়েছে সরকার। কৃষককে স্বস্তি দেয়ার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা ধরে রাখতে প্রস্তাবিত বাজেটে দেয়া হয়েছে বিশেষ অগ্রাধিকার।

চলতি বাজেটে সারে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও বিশ্ববাজারে সারের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ায় তা ছাড়িয়ে যায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শুধু সারে ভর্তুকি রাখা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী জানান, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তবে হাওড়ের আগাম বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান।

তাই প্রণোদনো প্যাকেজের আওতায় কৃষি খাতে বিতরণ করা ঋণে ৫ শতাংশ সুদ ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে রেয়াতি সুদে ১৯ হাজার ৫০০ কেটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

দেশে আমিষের ঘাটতি মেটাতে প্রনোদনা ও ভর্র্তকি আগের চেয়ে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখাতে বরাদ্দ ২ হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

কৃষির আধুনিকায়ণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, ঋণ-সারে ভর্তুকির পাশাপাশি মৎস্য ও প্রানীসম্পদ খাতের বাড়তি বরাদ্দ প্রান্তিক মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা অর্থমন্ত্রীর।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কৃষি ও প্রাণী সম্পদ খাতে ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

Update Time : ০৫:৪৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে কৃষি উৎপাদন ও উপকরণে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি, খাদ্য ও প্রাণী সম্পদ খাতে জন্য ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যা পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। আমদানি-নির্ভর রাসায়নিক সারে দেয়া হচ্ছে বড় আকারের ভর্তুকি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সারের দাম। আর এতে বড় ধরনের ভর্তুকির চাপে পড়েছে সরকার। কৃষককে স্বস্তি দেয়ার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা ধরে রাখতে প্রস্তাবিত বাজেটে দেয়া হয়েছে বিশেষ অগ্রাধিকার।

চলতি বাজেটে সারে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও বিশ্ববাজারে সারের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ায় তা ছাড়িয়ে যায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শুধু সারে ভর্তুকি রাখা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী জানান, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তবে হাওড়ের আগাম বন্যায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান।

তাই প্রণোদনো প্যাকেজের আওতায় কৃষি খাতে বিতরণ করা ঋণে ৫ শতাংশ সুদ ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে রেয়াতি সুদে ১৯ হাজার ৫০০ কেটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

দেশে আমিষের ঘাটতি মেটাতে প্রনোদনা ও ভর্র্তকি আগের চেয়ে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখাতে বরাদ্দ ২ হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

কৃষির আধুনিকায়ণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, ঋণ-সারে ভর্তুকির পাশাপাশি মৎস্য ও প্রানীসম্পদ খাতের বাড়তি বরাদ্দ প্রান্তিক মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা অর্থমন্ত্রীর।