এক মাস আগেই রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ

  • Update Time : ১০:২২:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২
  • / 180

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এক মাস বাকি থাকতেই রপ্তানি আয়ে পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গেছে। বছরে ২৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালের মে মাসে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্য থেকে একথা জানা যায়।

গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি আয় থেকে ৩ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানির হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে ৩৮৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের মে মাসে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

দেশের রপ্তানিকারকদের রপ্তানি আয় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ের মধ্যে ৩৪ দশমিক ০৯ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭ দশমিক ১৭ বিলিয়নে পৌঁছেছে।

এপ্রিল মাসে রপ্তানিকারকদের আয় বার্ষিক ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির সাথে ৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আর চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন হয়েছে।

এই অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি ৩৪.৮৭ শতাংশ বেড়ে ৩৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন হয়েছে। যার মধ্যে ২০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে, যা বছরে ৩৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়েছে, এবং ১৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন এসেছে বোনা পোশাক রপ্তানি থেকে, যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, নতুন রপ্তানি পণ্য হোম টেক্সটাইল ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন হয়েছে।

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতগুলোর মধ্যে একই সময়ে কৃষিপণ্য ২১ দশমিক ৫১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১,১১৫ দশমিক ৫৮ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ৮৪৬ দশমিক ০৮ মিলিয়ন ডলার ছিল।

একক মাসওয়ারি হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারলেও চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসের আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গেছে। এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি হয়েছে রপ্তানি। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের সামগ্রিক লক্ষ্যমাত্রা এবং গত অর্থবছরের মোট আয়কে ছাড়িয়ে গেছে তা।

গত ১১ মাসে ৩,৯৮৬ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪,৭১৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ আয় আগের বছরের জুলাই থেকে মে সময়ের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এক মাস আগেই রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ

Update Time : ১০:২২:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এক মাস বাকি থাকতেই রপ্তানি আয়ে পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গেছে। বছরে ২৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালের মে মাসে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্য থেকে একথা জানা যায়।

গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি আয় থেকে ৩ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানির হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে ৩৮৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের মে মাসে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

দেশের রপ্তানিকারকদের রপ্তানি আয় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ের মধ্যে ৩৪ দশমিক ০৯ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭ দশমিক ১৭ বিলিয়নে পৌঁছেছে।

এপ্রিল মাসে রপ্তানিকারকদের আয় বার্ষিক ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির সাথে ৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আর চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন হয়েছে।

এই অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি ৩৪.৮৭ শতাংশ বেড়ে ৩৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন হয়েছে। যার মধ্যে ২০ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে, যা বছরে ৩৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়েছে, এবং ১৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন এসেছে বোনা পোশাক রপ্তানি থেকে, যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, নতুন রপ্তানি পণ্য হোম টেক্সটাইল ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন হয়েছে।

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতগুলোর মধ্যে একই সময়ে কৃষিপণ্য ২১ দশমিক ৫১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১,১১৫ দশমিক ৫৮ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ৮৪৬ দশমিক ০৮ মিলিয়ন ডলার ছিল।

একক মাসওয়ারি হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারলেও চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসের আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে গেছে। এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি হয়েছে রপ্তানি। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের সামগ্রিক লক্ষ্যমাত্রা এবং গত অর্থবছরের মোট আয়কে ছাড়িয়ে গেছে তা।

গত ১১ মাসে ৩,৯৮৬ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪,৭১৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ আয় আগের বছরের জুলাই থেকে মে সময়ের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি।