নীলফামারীতে গৃহহীন ১২৫০টি পরিবারের স্বপ্নপূরণ

  • Update Time : ১০:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • / 189

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীন (ক” শ্রেণীর) ১২৫০ পরিবার পাবেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত স্বপ্নের ঘর। জেলার ৬টি উপজেলায় ১,২৫০ টি পরিবারের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২১ একর ৭০ শতক।

দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরগুলোতে একটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর ও ইউটিলিটি স্পেস রয়েছে। ৩৯৪ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে নীলফামারী জেলায় ১,২৫০টি ঘরের মধ্যে নীলফামারী সদর উপজেলায় ২২০টি, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৭০টি, সৈয়দপুর উপজেলায় ৬০টি, ডোমার উপজেলায় ৩০০টি, জলঢাকা উপজেলায় ৩০০টি ও ডিমলা উপজেলায় ২০০টি গৃহ পাবে ভূমি ও গৃহহীন পরিবার।

ডিমলা উপজেলার ইউএনও জয়শ্রী রানী রায় বিডিসমাচার২৪.কমকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রদেয় উপহার হিসেবে নির্মিত ঘর পেয়েছেন ১৮৫ পরিবার।২য় পর্যায়ে ২০০ পরিবারের জন্য ঘর ও ভুমির দলিল প্রস্তুত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন শেষে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র উপকারভোগীদের হস্তান্তর করা হবে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, সরকারি খাস জমিগুলো ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধার করতে একটু সময় লেগেছিলো। এছাড়া নিয়ম মেনেই ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, প্রকৃত আশ্রয়হীন পরিবার বেছে বেছে তাদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, নির্মিত গৃহসমূহে বিদ্যুৎ সংযোগ ও টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। ১১ হাজার ২৮৫টি তালিকাভুক্ত পরিবারের মাঝে প্রথম পর্যায়ে ৬৩৭টি পরিবারকে ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে।দ্বিতীয় পর্যায়ে ১,২৫০টির মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া ১ হাজার ১০টির চাবি ও জমি হস্তান্তর করা হবে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সারাদেশে একযোগে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নীলফামারীতে সুবিধাভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি ও সনদপত্র হস্তান্তর করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীতে গৃহহীন ১২৫০টি পরিবারের স্বপ্নপূরণ

Update Time : ১০:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ও ভূমিহীন (ক” শ্রেণীর) ১২৫০ পরিবার পাবেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত স্বপ্নের ঘর। জেলার ৬টি উপজেলায় ১,২৫০ টি পরিবারের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২১ একর ৭০ শতক।

দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরগুলোতে একটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর ও ইউটিলিটি স্পেস রয়েছে। ৩৯৪ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে নীলফামারী জেলায় ১,২৫০টি ঘরের মধ্যে নীলফামারী সদর উপজেলায় ২২০টি, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৭০টি, সৈয়দপুর উপজেলায় ৬০টি, ডোমার উপজেলায় ৩০০টি, জলঢাকা উপজেলায় ৩০০টি ও ডিমলা উপজেলায় ২০০টি গৃহ পাবে ভূমি ও গৃহহীন পরিবার।

ডিমলা উপজেলার ইউএনও জয়শ্রী রানী রায় বিডিসমাচার২৪.কমকে বলেন, প্রথম পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রদেয় উপহার হিসেবে নির্মিত ঘর পেয়েছেন ১৮৫ পরিবার।২য় পর্যায়ে ২০০ পরিবারের জন্য ঘর ও ভুমির দলিল প্রস্তুত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন শেষে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র উপকারভোগীদের হস্তান্তর করা হবে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রোকসানা বেগম বলেন, সরকারি খাস জমিগুলো ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধার করতে একটু সময় লেগেছিলো। এছাড়া নিয়ম মেনেই ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, প্রকৃত আশ্রয়হীন পরিবার বেছে বেছে তাদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, নির্মিত গৃহসমূহে বিদ্যুৎ সংযোগ ও টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। ১১ হাজার ২৮৫টি তালিকাভুক্ত পরিবারের মাঝে প্রথম পর্যায়ে ৬৩৭টি পরিবারকে ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে।দ্বিতীয় পর্যায়ে ১,২৫০টির মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া ১ হাজার ১০টির চাবি ও জমি হস্তান্তর করা হবে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সারাদেশে একযোগে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নীলফামারীতে সুবিধাভোগীদের মাঝে ঘরের চাবি ও সনদপত্র হস্তান্তর করা হবে।