মশক নিয়ন্ত্রণে ভবন মালিক সমিতিকে সম্পৃক্ত করুন: মেয়র তাপস

  • Update Time : ০৫:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • / 195

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ভবন মালিক সমিতিকে সম্পৃক্ত করতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে দক্ষিণ সিটির সাধারণ সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শীর্ষক’ দিকনির্দেশনামূলক সভায় নগর ভবন হতে অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এই আহ্বান জানান।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আপনারা ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্টভিত্তিক ভবনের মালিক সমিতির সাথে কথা বলবেন। সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আছেন, তাঁদেরকে অনুরোধ করবেন – তাদের আঙ্গিনায়, তাদের বাসা-বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় যেন আমাদের মশক কর্মীরা ঢুকতে পারে। কারণ, আমরা দেখছি — বাসাবাড়ির আনাচে-কানাচে, বিভিন্ন সামগ্রী, চাকা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল-পাত্রে স্বচ্ছ পানি জমে থাকার কারণে, বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে মশকের বিস্তৃতি হচ্ছে।”

দু’টো বাসার মাঝখানে অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে দেখা যায় উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “এসব জায়গায় বিভিন্ন পাত্র-সামগ্রীর মধ্যে পানি জমে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলোতে লার্ভিসাইডিং করতে হবে, কীটনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে। কারণ এসব জায়গায় বৃষ্টির পরে জমা পানিতে দুই-তিনদিনের মধ্যেই এডিস মশার বিস্তৃতি ঘটে, প্রজনন ঘটে। ছাদের কার্নিশে ও ছাদের অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে, সেগুলো দেখতে হবে।”

মহিলা কাউন্সিলরদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আপনাদের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অনায়সে যাতায়তের সুযোগ আছে। যেসব বাসাবাড়িতে ফুলের টব-ছাদবাগান বেশি আছে, আপনারা প্রয়োজনে সেসব বাসাবাড়িতে তাদের প্রবেশের সুযোগ করে দেবেন। বাসাবাড়ির আঙ্গিনা, ছাদে গিয়ে হলেও আমাদের এই মশক নিধন কার্যক্রম নিতে হবে।”

মশক নিয়ন্ত্রণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, “আপনারা চাহিদা দেবেন, যেখানে যা লাগবে আমাদেরকে জানাবেন। এই কার্যক্রমকে সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করবেন।”

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে হবে জানিয়ে বলেন, “ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছু বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা দেখছি, হাসপাতালগুলোতে কিছু রোগী ভর্তি হচ্ছে। সুতরাং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আপনাদের তদারকি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আপনাদের নেতৃত্বে গতবারের ন্যায় ইনশাআল্লাহ আমরা এবারও সফল হব।”

তাপস মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে পরিচালনার জন্য কাউন্সিলরবৃন্দ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, মশক সুপারভাইজরসহ মশক কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

এ সময় ঢাদসিক মেয়রের সাথে নগর ভবন প্রান্তে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media


মশক নিয়ন্ত্রণে ভবন মালিক সমিতিকে সম্পৃক্ত করুন: মেয়র তাপস

Update Time : ০৫:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ভবন মালিক সমিতিকে সম্পৃক্ত করতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে দক্ষিণ সিটির সাধারণ সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শীর্ষক’ দিকনির্দেশনামূলক সভায় নগর ভবন হতে অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এই আহ্বান জানান।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আপনারা ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্টভিত্তিক ভবনের মালিক সমিতির সাথে কথা বলবেন। সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আছেন, তাঁদেরকে অনুরোধ করবেন – তাদের আঙ্গিনায়, তাদের বাসা-বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় যেন আমাদের মশক কর্মীরা ঢুকতে পারে। কারণ, আমরা দেখছি — বাসাবাড়ির আনাচে-কানাচে, বিভিন্ন সামগ্রী, চাকা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল-পাত্রে স্বচ্ছ পানি জমে থাকার কারণে, বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে মশকের বিস্তৃতি হচ্ছে।”

দু’টো বাসার মাঝখানে অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে দেখা যায় উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “এসব জায়গায় বিভিন্ন পাত্র-সামগ্রীর মধ্যে পানি জমে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলোতে লার্ভিসাইডিং করতে হবে, কীটনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে। কারণ এসব জায়গায় বৃষ্টির পরে জমা পানিতে দুই-তিনদিনের মধ্যেই এডিস মশার বিস্তৃতি ঘটে, প্রজনন ঘটে। ছাদের কার্নিশে ও ছাদের অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে, সেগুলো দেখতে হবে।”

মহিলা কাউন্সিলরদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আপনাদের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অনায়সে যাতায়তের সুযোগ আছে। যেসব বাসাবাড়িতে ফুলের টব-ছাদবাগান বেশি আছে, আপনারা প্রয়োজনে সেসব বাসাবাড়িতে তাদের প্রবেশের সুযোগ করে দেবেন। বাসাবাড়ির আঙ্গিনা, ছাদে গিয়ে হলেও আমাদের এই মশক নিধন কার্যক্রম নিতে হবে।”

মশক নিয়ন্ত্রণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, “আপনারা চাহিদা দেবেন, যেখানে যা লাগবে আমাদেরকে জানাবেন। এই কার্যক্রমকে সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করবেন।”

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে হবে জানিয়ে বলেন, “ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছু বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা দেখছি, হাসপাতালগুলোতে কিছু রোগী ভর্তি হচ্ছে। সুতরাং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আপনাদের তদারকি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আপনাদের নেতৃত্বে গতবারের ন্যায় ইনশাআল্লাহ আমরা এবারও সফল হব।”

তাপস মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে পরিচালনার জন্য কাউন্সিলরবৃন্দ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, মশক সুপারভাইজরসহ মশক কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

এ সময় ঢাদসিক মেয়রের সাথে নগর ভবন প্রান্তে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।