তিন মামলায় গ্রেফতার থাকায় মুক্তি মিলছে না হেলেনা জাহাঙ্গীরের

  • Update Time : ০৫:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১
  • / 180

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এ জামিন মঞ্জুর করেন। তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর আরও তিন মামলায় গ্রেফতার থাকায় তার মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।

আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুই হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পৃথক চার মামলায় শুনানি শেষে তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ।এরপর রাজধানীর পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিন ও একই থানায় করা প্রতারণার আরেক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চারদিন ও প্রতারণার মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরপর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আবারও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। এছাড়াও গুলশান থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেক মামলায় তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। অপর দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানার মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ শাহানুর রহমান।

অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টার অভিযানে ওই বাসা থেকে বিদেশি মদ, বিদেশি মুদ্রা, হরিণের চামড়া, ক্যাসিনোর সরঞ্জাম ও ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়। এরপর রাত সোয়া ১২টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে নেয়া হয় র‌্যাব সদরদফতরে।

Please Share This Post in Your Social Media


তিন মামলায় গ্রেফতার থাকায় মুক্তি মিলছে না হেলেনা জাহাঙ্গীরের

Update Time : ০৫:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্যপদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এ জামিন মঞ্জুর করেন। তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর আরও তিন মামলায় গ্রেফতার থাকায় তার মুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।

আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুই হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত পৃথক চার মামলায় শুনানি শেষে তার ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ।এরপর রাজধানীর পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিন ও একই থানায় করা প্রতারণার আরেক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চারদিন ও প্রতারণার মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরপর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আবারও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। এছাড়াও গুলশান থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেক মামলায় তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। অপর দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানার মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ শাহানুর রহমান।

অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টার অভিযানে ওই বাসা থেকে বিদেশি মদ, বিদেশি মুদ্রা, হরিণের চামড়া, ক্যাসিনোর সরঞ্জাম ও ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়। এরপর রাত সোয়া ১২টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে নেয়া হয় র‌্যাব সদরদফতরে।