ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনাকে মাইনাস ষড়যন্ত্র ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা

  • Update Time : ০৭:৪৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • / 218

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মাইনাস ষড়যন্ত্রে জড়িত মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমান গংদের বিচার দাবি এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড পলাতক খুনী আসামী তারেক জিয়াকে দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

শনিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করা হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীর শুরুতে ভয়াল ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ,কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

উক্ত কর্মসূচীতে আরোও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ভাস্কর শিল্পী রাশা, সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীর বক্তব্যে সংগঠনের উপদেষ্টা ও ভাস্কর শিল্পী রাশা বলেন, “ওয়ান ইলেভেনের কুশীলব মাহফুজ আনামদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি যা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। যারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মাইনাস করে তৃতীয় পক্ষকে ক্ষমতায় আনতে চেয়েছিল এখন তারাই মাইনাস হয়ে গিয়েছে। তার একটি মিথ্যা তথ্যের কারণে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশকে অনেক চরম মূল্য দিতে হয়েছে।

২১ আগস্টের মতো ঘৃণ্য ঘটনায় জড়িত জঙ্গিবাদের মদদদাতা তারেক জিয়াকে এখনো দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারা রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা। মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের মদদ দাতা তারেক জিয়া জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। একে দ্রুত ধরে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে।”

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মাইনাসের ষড়যন্ত্রকারী মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমান গংদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা ও শাস্তির দাবি ওঠার পরেও রাষ্ট্র কর্তৃক আজও পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র এখনো চলমান।

ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলছে। অবিলম্বে মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমান গংদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিচার করতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় পাকিস্তানের আইএসআই সরাসরি জড়িত ছিল। পাকিস্তান জঙ্গিবাদের মদদদাতা হিসেবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে।

পাকিস্তানকে অবিলম্বে বাংলাদেশের নিকট রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। ২১ আগস্টের ভয়াল গ্রেনেড হামলার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত খুনী তারেক-বাবরের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। আইএসআইয়ের এজেন্ট পলাতক আসামী তারেককে ধরে নিয়ে এসে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন বলেন, “১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে আমাদের পিতারা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। আমাদের জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র আমরা সহ্য করবো না। ওয়ান ইলেভেনের মূল কুশীলব মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমান গংদের বিচার করতে হবে। ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মাইনাস ষড়যন্ত্র এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। ওয়ান ইলেভেনের মতোই ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। মাহফুজ আনাম গংদের বিচারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। মাহফুজ আনাম নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি যাচাই বাছাই না করে ডিজিএফআইয়ের দেয়া তথ্য ডেইলি স্টারে ছাপিয়েছিলেন।

তার এধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় তিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন। তার এধরনের হলুদ সংবাদ পরিবেশনের কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে দীর্ঘদিন মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকতে হয়েছে। নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার হতে হয়েছে। তৎকালীন সেনা সমর্থিত অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে যেতে হয়েছিল। মাহফুজ আনাম গংদেরকে অবশ্যই এর দায়ভার নিতে হবে।

গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক এবং সমাজের দর্পণ। সেই সাংবাদিকতা পেশাকে বিতর্কিত করেছে মাহফুজ আনাম গংরা। সাংবাদিকতার নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মাহফুজ আনাম গংরা নিজেদের পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন। সাংবাদিক সমাজের উচিত এসব রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। ওয়ান ইলেভেনের মূল কুশীলব মাহফুজ আনাম গংদের প্রকৃত চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করার জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শপথ নিতে হবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারাই ষড়যন্ত্র করবে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা এবং ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানির অপরাধে পাকিস্তান আজও পর্যন্ত বাংলাদেশের নিকট রাষ্ট্রীয় ভাবে ক্ষমা চাইনি। একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসর জিয়া-মোশতাক চক্রকে দিয়ে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় মদদে খুনী তারেক জিয়ার মাধ্যমে জঙ্গিদের গ্রেনেড সরবরাহ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে বেঁচে গেলেও সেদিন ২৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী শহীদ হয়েছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। এরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে শক্তির বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে।

কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে বিএনপি-জামাত-জঙ্গি অপশক্তিকে মদদ দেয়ার অপরাধে পাকিস্তানকে অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। বাংলাদেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। জঙ্গিবাদের মদদদাতা পাকিস্তানের সঙ্গে সকল ধরনের কূটনীতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। একাত্তরের গণহত্যা, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে পাকিস্তানের আইএসআই জড়িত থাকার অপরাধে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের নিকট রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাকিস্তানের বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মাইনাসের ষড়যন্ত্রকারী মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমানদের বিচার করে রাষ্ট্রকে প্রমাণ করতে হবে রাষ্ট্র এদের চেয়ে শক্তিশালী। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে অবশ্যই ওয়ান ইলেভেনের সকল কুশীলবদের বিচার করতে হবে। ২১ আগস্টের ভয়াল গ্রেনেড হামলায় জড়িত পলাতক আসামী তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, “মাহফুজ আনামরা সুযোগ পেলেই রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় যার প্রমাণ ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র। ওয়ান ইলেভেনের মতো খালেদা-তারেক চেয়েছিল দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করবে কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরা ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল। এখনো এদের ষড়যন্ত্র চলমান। এদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রাজপথে সোচ্চার থাকতে হবে।”

Please Share This Post in Your Social Media


ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনাকে মাইনাস ষড়যন্ত্র ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা

Update Time : ০৭:৪৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মাইনাস ষড়যন্ত্রে জড়িত মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমান গংদের বিচার দাবি এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড পলাতক খুনী আসামী তারেক জিয়াকে দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

শনিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচী পালন করা হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীর শুরুতে ভয়াল ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ,কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

উক্ত কর্মসূচীতে আরোও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ভাস্কর শিল্পী রাশা, সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীর বক্তব্যে সংগঠনের উপদেষ্টা ও ভাস্কর শিল্পী রাশা বলেন, “ওয়ান ইলেভেনের কুশীলব মাহফুজ আনামদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি যা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। যারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মাইনাস করে তৃতীয় পক্ষকে ক্ষমতায় আনতে চেয়েছিল এখন তারাই মাইনাস হয়ে গিয়েছে। তার একটি মিথ্যা তথ্যের কারণে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাংলাদেশকে অনেক চরম মূল্য দিতে হয়েছে।

২১ আগস্টের মতো ঘৃণ্য ঘটনায় জড়িত জঙ্গিবাদের মদদদাতা তারেক জিয়াকে এখনো দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারা রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা। মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের মদদ দাতা তারেক জিয়া জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে। একে দ্রুত ধরে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে।”

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মাইনাসের ষড়যন্ত্রকারী মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমান গংদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা ও শাস্তির দাবি ওঠার পরেও রাষ্ট্র কর্তৃক আজও পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র এখনো চলমান।

ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলছে। অবিলম্বে মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমান গংদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিচার করতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় পাকিস্তানের আইএসআই সরাসরি জড়িত ছিল। পাকিস্তান জঙ্গিবাদের মদদদাতা হিসেবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে।

পাকিস্তানকে অবিলম্বে বাংলাদেশের নিকট রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। ২১ আগস্টের ভয়াল গ্রেনেড হামলার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত খুনী তারেক-বাবরের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। আইএসআইয়ের এজেন্ট পলাতক আসামী তারেককে ধরে নিয়ে এসে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুন বলেন, “১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে আমাদের পিতারা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। আমাদের জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র আমরা সহ্য করবো না। ওয়ান ইলেভেনের মূল কুশীলব মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমান গংদের বিচার করতে হবে। ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মাইনাস ষড়যন্ত্র এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। ওয়ান ইলেভেনের মতোই ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। মাহফুজ আনাম গংদের বিচারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। মাহফুজ আনাম নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি যাচাই বাছাই না করে ডিজিএফআইয়ের দেয়া তথ্য ডেইলি স্টারে ছাপিয়েছিলেন।

তার এধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় তিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন। তার এধরনের হলুদ সংবাদ পরিবেশনের কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে দীর্ঘদিন মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকতে হয়েছে। নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার হতে হয়েছে। তৎকালীন সেনা সমর্থিত অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে যেতে হয়েছিল। মাহফুজ আনাম গংদেরকে অবশ্যই এর দায়ভার নিতে হবে।

গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক এবং সমাজের দর্পণ। সেই সাংবাদিকতা পেশাকে বিতর্কিত করেছে মাহফুজ আনাম গংরা। সাংবাদিকতার নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মাহফুজ আনাম গংরা নিজেদের পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন। সাংবাদিক সমাজের উচিত এসব রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। ওয়ান ইলেভেনের মূল কুশীলব মাহফুজ আনাম গংদের প্রকৃত চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করার জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শপথ নিতে হবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারাই ষড়যন্ত্র করবে, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা এবং ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানির অপরাধে পাকিস্তান আজও পর্যন্ত বাংলাদেশের নিকট রাষ্ট্রীয় ভাবে ক্ষমা চাইনি। একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসর জিয়া-মোশতাক চক্রকে দিয়ে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় মদদে খুনী তারেক জিয়ার মাধ্যমে জঙ্গিদের গ্রেনেড সরবরাহ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে বেঁচে গেলেও সেদিন ২৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী শহীদ হয়েছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। এরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে শক্তির বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে।

কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে বিএনপি-জামাত-জঙ্গি অপশক্তিকে মদদ দেয়ার অপরাধে পাকিস্তানকে অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। বাংলাদেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। জঙ্গিবাদের মদদদাতা পাকিস্তানের সঙ্গে সকল ধরনের কূটনীতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। একাত্তরের গণহত্যা, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে পাকিস্তানের আইএসআই জড়িত থাকার অপরাধে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের নিকট রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাকিস্তানের বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মাইনাসের ষড়যন্ত্রকারী মাহফুজ আনাম-মতিউর রহমানদের বিচার করে রাষ্ট্রকে প্রমাণ করতে হবে রাষ্ট্র এদের চেয়ে শক্তিশালী। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে অবশ্যই ওয়ান ইলেভেনের সকল কুশীলবদের বিচার করতে হবে। ২১ আগস্টের ভয়াল গ্রেনেড হামলায় জড়িত পলাতক আসামী তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, “মাহফুজ আনামরা সুযোগ পেলেই রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় যার প্রমাণ ওয়ান ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র। ওয়ান ইলেভেনের মতো খালেদা-তারেক চেয়েছিল দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করবে কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরা ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছিল। এখনো এদের ষড়যন্ত্র চলমান। এদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রাজপথে সোচ্চার থাকতে হবে।”