সাংবাদিকদের তথ্য না দেওয়ার মনোজগৎ ভাঙতে হবে: জাফর ওয়াজেদ

  • Update Time : ০৮:১৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • / 187

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর তথ্য সরবরাহকারী মানুষের মধ্যে তথ্য না দেওয়ার যে মনোজগৎ সৃষ্টি হয়েছে তা ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে স্বচ্ছতার পথ তৈরি করে দিয়েছেন। তথ্য অধিকার আইনের চর্চার মাধ্যমে সেই পথ আরও সুগম করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) পিআইবির সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ে অংশীজনের অবিহিতকরণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে পিআইবির পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আফরাজুর রহমান, উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী প্রত্যের সরকারি দপ্তরে একজন তথ্য অফিসার থাকার নিয়ম। কিন্তু বাস্তবে তা নেই। সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যেও তথ্য না একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু জনস্বার্থে যেকোনো তথ্য চাওয়ার অধিকার গণমাধ্যমকর্মীদের আছে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসনামলে পত্রিকাগুলোকে ফোন দিয়ে কি নিউজ যাবে, কত কলামে যাবে তা বলে দেওয়া হতো এবং বার্তা সম্পাদকরা সেটি মানতে বাধ্য হতেন। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশটা অনেকটাই সুগম করেছেন। তথ্য অধিকার আইন করে দিয়েছেন। বেশি বেশি এই আইনের প্রয়োগ করলে করলে তথ্য দেয়ার চর্চা হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইনের অপব্যবহার হয়। এ কারণে তথ্য অধিকার আইন ভালোভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। উপজেলা ও মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, তা সাংবাদিকরাও জানেন না। অথচ এ আইন সবার জন্য।

Please Share This Post in Your Social Media


সাংবাদিকদের তথ্য না দেওয়ার মনোজগৎ ভাঙতে হবে: জাফর ওয়াজেদ

Update Time : ০৮:১৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর তথ্য সরবরাহকারী মানুষের মধ্যে তথ্য না দেওয়ার যে মনোজগৎ সৃষ্টি হয়েছে তা ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে স্বচ্ছতার পথ তৈরি করে দিয়েছেন। তথ্য অধিকার আইনের চর্চার মাধ্যমে সেই পথ আরও সুগম করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) পিআইবির সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ে অংশীজনের অবিহিতকরণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে পিআইবির পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আফরাজুর রহমান, উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী প্রত্যের সরকারি দপ্তরে একজন তথ্য অফিসার থাকার নিয়ম। কিন্তু বাস্তবে তা নেই। সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যেও তথ্য না একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু জনস্বার্থে যেকোনো তথ্য চাওয়ার অধিকার গণমাধ্যমকর্মীদের আছে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসনামলে পত্রিকাগুলোকে ফোন দিয়ে কি নিউজ যাবে, কত কলামে যাবে তা বলে দেওয়া হতো এবং বার্তা সম্পাদকরা সেটি মানতে বাধ্য হতেন। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশটা অনেকটাই সুগম করেছেন। তথ্য অধিকার আইন করে দিয়েছেন। বেশি বেশি এই আইনের প্রয়োগ করলে করলে তথ্য দেয়ার চর্চা হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইনের অপব্যবহার হয়। এ কারণে তথ্য অধিকার আইন ভালোভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। উপজেলা ও মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, তা সাংবাদিকরাও জানেন না। অথচ এ আইন সবার জন্য।