উড়াল সড়কের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ খুলছে সেপ্টেম্বরে

  • Update Time : ১২:৫৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • / 157

নিজস্ব প্রতিবেদক

উড়াল সড়কের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ খুলছে সেপ্টেম্বরে
রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে চালু হতে যাচ্ছে আরো একটি বহুল প্রতিক্ষীত বড় প্রকল্প। সেপ্টেম্বরেই খুলে দেয়া হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়কের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ।

শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উড়াল সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে উড়াল সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে।

উড়াল সড়কটি কুড়িল, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে রেল লাইনের ওপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। সড়কে ওঠানামার জন্য র‌্যাম্প থাকবে ৪১ টি র‌্যাম্প আছে। এই হিসাবে উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন নামের একটি বিদেশি কোম্পানি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে।

প্রকল্পটি নির্মাণের সুবিধার্থে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার পর্যন্ত এবং শেষ অংশে রয়েছে মগবাজার থেকে কুতুবখালী।

এক্সপ্রেসওয়েটিতে ১১টি টোল প্লাজা থাকবে। যার পাঁচটিই এক্সপ্রেসওয়ের উপরে। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। দ্রুতগতির এই উড়াল সড়ক চালু হলে যোগাযোগ ব্যয় ও ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও আধুনিক করার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার উত্তর-দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করবে।

আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। ফলে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট কমবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


উড়াল সড়কের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ খুলছে সেপ্টেম্বরে

Update Time : ১২:৫৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

উড়াল সড়কের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ খুলছে সেপ্টেম্বরে
রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে চালু হতে যাচ্ছে আরো একটি বহুল প্রতিক্ষীত বড় প্রকল্প। সেপ্টেম্বরেই খুলে দেয়া হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়কের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ।

শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উড়াল সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরে উড়াল সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে।

উড়াল সড়কটি কুড়িল, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে রেল লাইনের ওপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। সড়কে ওঠানামার জন্য র‌্যাম্প থাকবে ৪১ টি র‌্যাম্প আছে। এই হিসাবে উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন নামের একটি বিদেশি কোম্পানি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে।

প্রকল্পটি নির্মাণের সুবিধার্থে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার পর্যন্ত এবং শেষ অংশে রয়েছে মগবাজার থেকে কুতুবখালী।

এক্সপ্রেসওয়েটিতে ১১টি টোল প্লাজা থাকবে। যার পাঁচটিই এক্সপ্রেসওয়ের উপরে। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। দ্রুতগতির এই উড়াল সড়ক চালু হলে যোগাযোগ ব্যয় ও ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও আধুনিক করার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার উত্তর-দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করবে।

আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। ফলে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট কমবে।