অন্য নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতা দেখে ফেলায় মেয়েকে খুন করেন বাবা

  • Update Time : ০৯:৫৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • / 226

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলায় নিজের কন্যা সন্তান ফাহিমাকে হত্যা করেন কুমিল্লার দেবিদ্বারের ট্রাক্টর চালক আমির হোসেন। ঘটনার দিন মেয়েকে চকলেট কিনে দেওয়া ও ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নির্জন জায়গায় নিয়ে যান আমির। সেখানে হাত-পা বেঁধে ফাহিমাকে ছুরিকাঘাত করেন আমির হোসেনের চাচাতো ভাই রেজাউল। আর গলা চেপে শ্বাসরোধে ফাহিমার মৃত্যু নিশ্চিত করেন বাবা আমির হোসেন নিজেই।

শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর বাবা নিজেই মাইকিং করেন, বিভিন্ন স্থানে শ্বশুর-শাশুড়িসহ নিখোঁজ মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করেন। এমনকি এই ঘটনায় থানায় মামলাও করেন অভিযুক্ত বাবা। তবে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর ব্যবহৃত ফিডের বস্তার সূত্র ধরে বাবা আমির হোসেনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্স র‌্যাব।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এ দিকে মেয়েকে হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বাবা আমির হোসেন, চাচাতো চাচা রবিউল আউয়াল ও রেজাউল ইসলাম ইমন, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত মোসা. লাইলি আক্তার এবং সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাবের দাবি, পার্শ্ববর্তী লাইলি আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল আমির হোসেনের। গত ৫ নভেম্বর লাইলি ও আমির হোসেনকে শিশু ফাহিমা আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। যা তার মাকে বলে দেওয়ার কথাও জানায় ফাহিমা। সেটিই যেন কাল হয় শিশুটির। লাইলি আক্তার ও আমির হোসেন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এই বিষয়টি যেন কেউ জানতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমির হোসেনকে চাপ দিতে থাকেন লাইলি। তার প্ররোচনায় গত ৬ নভেম্বর ঘাতক আমির হোসেন গ্রেপ্তারকৃত অন্য সহযোগীদের নিয়ে ভিকটিম শিশু ফাহিমা আক্তারকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করেন এবং আমির হোসেন লাইলি আক্তারকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি জানান।

শিশু ফাহিমাকে হত্যা করলে পথ পরিষ্কার এবং তাদের অনৈতিক সম্পর্ক কেউ জানবে না এমন পরিকল্পনায় নিজের মেয়েকে হত্যা করা হয় জানিয়ে র‌্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শিশু ফাহিমাকে হত্যার পর স্ত্রীকেও খুন কিংবা ডিভোর্স দিয়ে লাইলিকে নিয়ে সংসার শুরু করতে চেয়েছিলেন আমির হোসেন। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মেয়েকে হত্যা করা হয়।

যেভাবে হত্যা:

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ৭ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৫ বছরের শিশু ফাহিমা আক্তার নিখোঁজ হয়। শিশু ফাহিমার পিতা আমির হোসেন দেবিদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের পর ভিকটিমের পিতা আমির হোসেন ৭ ও ৮ নভেম্বর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেন এমনকি গত ৮ নভেম্বর ঝাড়ফুঁক দিয়ে মেয়েকে খোঁজার জন্য একজন ফকির-কবিরাজকেও খবর দেন।

পরবর্তীতে গত ১৪ নভেম্বর পুলিশ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর জনৈক নজরুল মাস্টারের বাড়ির সামনে কালভার্টের নিচে সরকারি খালের ডোবা থেকে নিহতের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ফাহিমার পরিচয় নিশ্চিত করে তার পরিবার। ওই ঘটনায় ঘাতক বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাব-১১ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত বাবাসহ ৫ আসামিকে গ্রেপ্তারে সমর্থ হয়।

র‌্যাব জানায়, পরিকল্পনা মোতাবেক ৬ নভেম্বর রাতে রেজাউল ইসলাম ইমনের ফার্নিচার দোকানে পিতা আমির হোসেন টাকার বিনিময়ে রবিউল আউয়াল, রেজাউল ইসলাম ইমন ও সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে ফাহিমাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করে।

ধারালো ছুরি ও হত্যার পর লাশটি লুকানোর জন্য দুইটি প্লাস্টিকের বস্তা সংগ্রহ করেন তারা। পরবর্তীতে গত ৭ নভেম্বর বিকালে চকলেট কিনে দেয়া ও বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে চাঁপানগর রাস্তার মোড়ে সোহেল রানার সিএনজিতে করে দেবিদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণে নদীর নির্জন স্থানে শিশু ফাহিমাকে নিয়ে যান।

হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাত-বাবার হাতে শ্বাসরোধে হত্যা

লাইলি আক্তারের উপস্থিতিতে আমির হোসেন তার মেয়ে ফাহিমার মুখে চেপে ধরে রাখে ও সর্বপ্রথম নিজেই মেয়েকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। রবিউল ভিকটিমের পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। রেজাউল ইসলাম ইমন ছুরি দিয়ে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। সোহেল ছুরি দিয়ে ভিকটিমের পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করে দেন। পরে বাবা আমির হোসেন নিজেই ফাহিমার গলায় চেপে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর শিশু ফাহিমার মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে সিএনজিতে করে ইমনের গরুর ঘরে ড্রামে লুকিয়ে রাখেন। ৯ নভেম্বর রাতে সোহেল রানার সিএনজিতে করে আমির হোসেন, রবিউল, ইমন বস্তাবন্দি ফাহিমার মরদেহ দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর কালভার্টের নিচে ডোবায় ফেলে দেন।

ফাহিমাকে হত্যার পর ঘাতক বাবার মাইকিং-খোঁজাখুঁজি

নিখোঁজ কন্যা ফাহিমাকে খুঁজে পেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোম্পানীগঞ্জেও স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ খুঁজতে যায়। ১৪ নভেম্বর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর ঘাতক বাবা আমির হোসেন নিজেই বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

‘প্রকৃত হত্যাকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার পোস্ট করে, যাতে তাদের ওপর কারো সন্দেহ না হয়’-উল্লেখ করেন র‌্যাব মুখপাত্র।

বস্তা দেখে অপরাধীরা শনাক্ত:

গরুর খাবারের বস্তার সূত্রে বাবাসহ হত্যাকারীরা শনাক্ত

কিভাবে বাবাসহ হত্যাকারীদের শনাক্ত হলো জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘শিশু ফাহিমাকে হত্যার পর গরুর খাবারের বস্তা দেখেন র‌্যাব সদস্যরা। এরপর ইমনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য। এরপর একে একে গ্রেপ্তার করা হয় বাবা আমির হোসেনসহ বাকি আসামিদের।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অন্য নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গতা দেখে ফেলায় মেয়েকে খুন করেন বাবা

Update Time : ০৯:৫৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলায় নিজের কন্যা সন্তান ফাহিমাকে হত্যা করেন কুমিল্লার দেবিদ্বারের ট্রাক্টর চালক আমির হোসেন। ঘটনার দিন মেয়েকে চকলেট কিনে দেওয়া ও ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নির্জন জায়গায় নিয়ে যান আমির। সেখানে হাত-পা বেঁধে ফাহিমাকে ছুরিকাঘাত করেন আমির হোসেনের চাচাতো ভাই রেজাউল। আর গলা চেপে শ্বাসরোধে ফাহিমার মৃত্যু নিশ্চিত করেন বাবা আমির হোসেন নিজেই।

শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর বাবা নিজেই মাইকিং করেন, বিভিন্ন স্থানে শ্বশুর-শাশুড়িসহ নিখোঁজ মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করেন। এমনকি এই ঘটনায় থানায় মামলাও করেন অভিযুক্ত বাবা। তবে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর ব্যবহৃত ফিডের বস্তার সূত্র ধরে বাবা আমির হোসেনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্স র‌্যাব।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এ দিকে মেয়েকে হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বাবা আমির হোসেন, চাচাতো চাচা রবিউল আউয়াল ও রেজাউল ইসলাম ইমন, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত মোসা. লাইলি আক্তার এবং সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাবের দাবি, পার্শ্ববর্তী লাইলি আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল আমির হোসেনের। গত ৫ নভেম্বর লাইলি ও আমির হোসেনকে শিশু ফাহিমা আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। যা তার মাকে বলে দেওয়ার কথাও জানায় ফাহিমা। সেটিই যেন কাল হয় শিশুটির। লাইলি আক্তার ও আমির হোসেন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এই বিষয়টি যেন কেউ জানতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমির হোসেনকে চাপ দিতে থাকেন লাইলি। তার প্ররোচনায় গত ৬ নভেম্বর ঘাতক আমির হোসেন গ্রেপ্তারকৃত অন্য সহযোগীদের নিয়ে ভিকটিম শিশু ফাহিমা আক্তারকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করেন এবং আমির হোসেন লাইলি আক্তারকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি জানান।

শিশু ফাহিমাকে হত্যা করলে পথ পরিষ্কার এবং তাদের অনৈতিক সম্পর্ক কেউ জানবে না এমন পরিকল্পনায় নিজের মেয়েকে হত্যা করা হয় জানিয়ে র‌্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শিশু ফাহিমাকে হত্যার পর স্ত্রীকেও খুন কিংবা ডিভোর্স দিয়ে লাইলিকে নিয়ে সংসার শুরু করতে চেয়েছিলেন আমির হোসেন। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মেয়েকে হত্যা করা হয়।

যেভাবে হত্যা:

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ৭ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৫ বছরের শিশু ফাহিমা আক্তার নিখোঁজ হয়। শিশু ফাহিমার পিতা আমির হোসেন দেবিদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের পর ভিকটিমের পিতা আমির হোসেন ৭ ও ৮ নভেম্বর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেন এমনকি গত ৮ নভেম্বর ঝাড়ফুঁক দিয়ে মেয়েকে খোঁজার জন্য একজন ফকির-কবিরাজকেও খবর দেন।

পরবর্তীতে গত ১৪ নভেম্বর পুলিশ কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর জনৈক নজরুল মাস্টারের বাড়ির সামনে কালভার্টের নিচে সরকারি খালের ডোবা থেকে নিহতের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ফাহিমার পরিচয় নিশ্চিত করে তার পরিবার। ওই ঘটনায় ঘাতক বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাব-১১ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত বাবাসহ ৫ আসামিকে গ্রেপ্তারে সমর্থ হয়।

র‌্যাব জানায়, পরিকল্পনা মোতাবেক ৬ নভেম্বর রাতে রেজাউল ইসলাম ইমনের ফার্নিচার দোকানে পিতা আমির হোসেন টাকার বিনিময়ে রবিউল আউয়াল, রেজাউল ইসলাম ইমন ও সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে ফাহিমাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করে।

ধারালো ছুরি ও হত্যার পর লাশটি লুকানোর জন্য দুইটি প্লাস্টিকের বস্তা সংগ্রহ করেন তারা। পরবর্তীতে গত ৭ নভেম্বর বিকালে চকলেট কিনে দেয়া ও বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে চাঁপানগর রাস্তার মোড়ে সোহেল রানার সিএনজিতে করে দেবিদ্বার পুরান বাজারের দক্ষিণে নদীর নির্জন স্থানে শিশু ফাহিমাকে নিয়ে যান।

হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাত-বাবার হাতে শ্বাসরোধে হত্যা

লাইলি আক্তারের উপস্থিতিতে আমির হোসেন তার মেয়ে ফাহিমার মুখে চেপে ধরে রাখে ও সর্বপ্রথম নিজেই মেয়েকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। রবিউল ভিকটিমের পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। রেজাউল ইসলাম ইমন ছুরি দিয়ে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। সোহেল ছুরি দিয়ে ভিকটিমের পেছনে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করে দেন। পরে বাবা আমির হোসেন নিজেই ফাহিমার গলায় চেপে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর শিশু ফাহিমার মরদেহ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে সিএনজিতে করে ইমনের গরুর ঘরে ড্রামে লুকিয়ে রাখেন। ৯ নভেম্বর রাতে সোহেল রানার সিএনজিতে করে আমির হোসেন, রবিউল, ইমন বস্তাবন্দি ফাহিমার মরদেহ দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর কালভার্টের নিচে ডোবায় ফেলে দেন।

ফাহিমাকে হত্যার পর ঘাতক বাবার মাইকিং-খোঁজাখুঁজি

নিখোঁজ কন্যা ফাহিমাকে খুঁজে পেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোম্পানীগঞ্জেও স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ খুঁজতে যায়। ১৪ নভেম্বর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর ঘাতক বাবা আমির হোসেন নিজেই বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

‘প্রকৃত হত্যাকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার পোস্ট করে, যাতে তাদের ওপর কারো সন্দেহ না হয়’-উল্লেখ করেন র‌্যাব মুখপাত্র।

বস্তা দেখে অপরাধীরা শনাক্ত:

গরুর খাবারের বস্তার সূত্রে বাবাসহ হত্যাকারীরা শনাক্ত

কিভাবে বাবাসহ হত্যাকারীদের শনাক্ত হলো জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘শিশু ফাহিমাকে হত্যার পর গরুর খাবারের বস্তা দেখেন র‌্যাব সদস্যরা। এরপর ইমনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য। এরপর একে একে গ্রেপ্তার করা হয় বাবা আমির হোসেনসহ বাকি আসামিদের।’