যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত
- Update Time : ০৭:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
- / 168
মুহাম্মদ ইমাম-উল-জাননাহ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়:
বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
রবিবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়; উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা।
সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ধানমণ্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে বাদ জোহর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। উপাচার্য বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি জীবনের মাত্র ১২ ভাগ সময় পরিবারকে দিয়েছিলেন। বাকি ৮৮ ভাগ সময় তিনি গণমানুষের সেবায় ব্যয় করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই মহান আত্মত্যাগের কথা কেউ যেন ভুলে না যায়।”
ঢাবি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।
এ দিকে,’সংবাদপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিগাথা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।
প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন-আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রবিবার (১৫ আগস্ট) সকাল দশটায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন ও তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে আলোকচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে যা একটি দায়িত্ববোধের দৃষ্টান্ত।
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসে সাংবাদিক সমিতি বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রকাশিত ছবি, বিভিন্ন পোস্টার, বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিবছর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এটি ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা ও তথ্যের আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল কবির।
বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘সংবাদপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিগাঁথা’ শিরোনামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেছে। এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিফলন আমরা জানতে পারি। এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করার পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শোক দিবসের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো হবে।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ, পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ, বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন ধরনের ৪৩টি পেপার কাটিং ও আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।