আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

  • Update Time : ১১:০৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 41

আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

ভারতের আগরতলার কুঞ্জবনে অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাবির হলপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এতে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি হলপাড়া থেকে বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে ভিসি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’; ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’; ‘হাইকমিশনে/আগরতলায় হামলা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।

মিছিল শেষে ভিসি চত্বরে একটি সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, ‘ভারত দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ওপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ নানা ধরনের আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ২৪ এর রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে এ দেশের ছাত্র-জনতা শুধুমাত্র হাসিনাকেই লাল কার্ড দেখায়নি, একই সঙ্গে লাল কার্ড দেখিয়েছে ভারতের আধিপাত্যবাদ ও আগ্রাসন কেও। এসব সহ্য করতে না পেরে ভারত আজ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনে হামলা করেছে।’

No description available.

তিনি বলেন, ‘হাই কমিশনে হামলা, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা, এগুলো একটি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা ভারতের দাদাদের বলে দিতে চাই, এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এটা নতুন বাংলাদেশ। আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আসলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেব।’

জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী শরবা মিত্র বলেন, ‘গত ১৬ বছর পরে বাংলাদেশ যখন দিল্লির গোলামি ছেড়ে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে, দিল্লির দিকে চোখে চোখ রেখে তাকাচ্ছে দিল্লির ঘুম তখন হারাম হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই এ দেশেরই। এ দেশে কোনো বিদেশি শক্তির দালাল থাকবে না। এ দেশে যদি কোনো দালাল থাকে, তাহলে একমাত্র বাংলাদেশের দালাল থাকবে। আমাদের দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ভারতসহ সব বিদেশি শক্তির চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।’

এর আগে একই স্থানে সমাবেশ করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের উপর যে হামলা করা হয়েছে তার মাধ্যমে বিজেপি একটি নগ্ন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এটি বিজেপি, আরএসএসের মতো আগ্রাসী উগ্রবাদী গোষ্ঠীর কাজ। মোদি সরকার এটি করেছে। তারা নিজের দেশে মসজিদ ভেঙে আমাদের ধর্মীয় সম্প্রীতির জ্ঞান দেয়।’

ভারতের শান্তিকামী মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভারতের শান্তিকামী মানুষকে আহ্বান করব তারা যেন এসব আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি চান তারা এসব জঙ্গি ইসকন, বিজেপি, আরএসএসের ষড়যন্ত্র রুখে দিন।’

Please Share This Post in Your Social Media


আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

Update Time : ১১:০৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:

ভারতের আগরতলার কুঞ্জবনে অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাবির হলপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এতে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি হলপাড়া থেকে বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে ভিসি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’; ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’; ‘হাইকমিশনে/আগরতলায় হামলা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।

মিছিল শেষে ভিসি চত্বরে একটি সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, ‘ভারত দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ওপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ নানা ধরনের আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ২৪ এর রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে এ দেশের ছাত্র-জনতা শুধুমাত্র হাসিনাকেই লাল কার্ড দেখায়নি, একই সঙ্গে লাল কার্ড দেখিয়েছে ভারতের আধিপাত্যবাদ ও আগ্রাসন কেও। এসব সহ্য করতে না পেরে ভারত আজ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনে হামলা করেছে।’

No description available.

তিনি বলেন, ‘হাই কমিশনে হামলা, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা, এগুলো একটি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা ভারতের দাদাদের বলে দিতে চাই, এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এটা নতুন বাংলাদেশ। আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আসলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেব।’

জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী শরবা মিত্র বলেন, ‘গত ১৬ বছর পরে বাংলাদেশ যখন দিল্লির গোলামি ছেড়ে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে, দিল্লির দিকে চোখে চোখ রেখে তাকাচ্ছে দিল্লির ঘুম তখন হারাম হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই এ দেশেরই। এ দেশে কোনো বিদেশি শক্তির দালাল থাকবে না। এ দেশে যদি কোনো দালাল থাকে, তাহলে একমাত্র বাংলাদেশের দালাল থাকবে। আমাদের দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ভারতসহ সব বিদেশি শক্তির চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।’

এর আগে একই স্থানে সমাবেশ করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের উপর যে হামলা করা হয়েছে তার মাধ্যমে বিজেপি একটি নগ্ন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এটি বিজেপি, আরএসএসের মতো আগ্রাসী উগ্রবাদী গোষ্ঠীর কাজ। মোদি সরকার এটি করেছে। তারা নিজের দেশে মসজিদ ভেঙে আমাদের ধর্মীয় সম্প্রীতির জ্ঞান দেয়।’

ভারতের শান্তিকামী মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভারতের শান্তিকামী মানুষকে আহ্বান করব তারা যেন এসব আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি চান তারা এসব জঙ্গি ইসকন, বিজেপি, আরএসএসের ষড়যন্ত্র রুখে দিন।’