আসিফ নজরুলকে হেনস্তার প্রতিবাদে ঢাবির আইনের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

  • Update Time : ১০:০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / 50

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশে ফেরার সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীতে, কাজী মোতাহের হোসেন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন থেকে আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তার ঘটনাটি তদন্তসহ সুইজারল্যান্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে ঢাবির আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক বলেন, আসিফ নজরুলের সঙ্গে যা হয়েছে পৃথিবীর সব দেশের আইন ও আন্তর্জাতিক আইনের এবং শিষ্টাচারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকারকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি৷

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক বিচারক শাহজাহান সাজু বলেন, আসিফ নজরুলকে সুইজারল্যান্ডে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য কাজ। তিনি সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, কেন উপদেষ্টাকে একা যেতে দেওয়া হলো? কেন তাঁকে প্রটোকল দেওয়া হলো না? এটা পূর্বপরিকল্পিত কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আসিফ নজরুলের সঙ্গে যা হয়েছে, তা পৃথিবীর সব দেশের আইন, আন্তর্জাতিক আইন এবং শিষ্টাচারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন ঢাবির আইন বিভাগের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক। তিনি সরকারকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, কিছু ‘জয় বাংলা স্লোগানধারী’ যেভাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পথরুদ্ধ করেছে, তা শুধু ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে। তিনি আসিফ নজরুলকে অপদস্থ করার ভিডিওটি সুইজারল্যান্ডের সরকারের কাছে পাঠানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আইনজীবী অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, আইএলও কনভেনশনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফেরার পথে  আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসররা তার সঙ্গে অসদাচরণ করে।  আমরা জানি ইউরোপে থাকলে  মানুষ হয়। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ আর মানুষ হবে না। কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। আসিফ নজরুল এক দিনে তৈরি হয়নি। যখন কেউ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারতো না এই আসিফ নজরুলসহ কলমযোদ্ধারা তার বিরুদ্ধে লিখেছে। তারা আসিফ নজরুলকে হেনস্তা করেছে। আমি সরকারকে বলবো— এই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেবেন না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আসিফ নজরুলকে হেনস্তার প্রতিবাদে ঢাবির আইনের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

Update Time : ১০:০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশে ফেরার সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীতে, কাজী মোতাহের হোসেন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন থেকে আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তার ঘটনাটি তদন্তসহ সুইজারল্যান্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধনে ঢাবির আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক বলেন, আসিফ নজরুলের সঙ্গে যা হয়েছে পৃথিবীর সব দেশের আইন ও আন্তর্জাতিক আইনের এবং শিষ্টাচারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকারকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি৷

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক বিচারক শাহজাহান সাজু বলেন, আসিফ নজরুলকে সুইজারল্যান্ডে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য কাজ। তিনি সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, কেন উপদেষ্টাকে একা যেতে দেওয়া হলো? কেন তাঁকে প্রটোকল দেওয়া হলো না? এটা পূর্বপরিকল্পিত কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আসিফ নজরুলের সঙ্গে যা হয়েছে, তা পৃথিবীর সব দেশের আইন, আন্তর্জাতিক আইন এবং শিষ্টাচারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন ঢাবির আইন বিভাগের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক। তিনি সরকারকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, কিছু ‘জয় বাংলা স্লোগানধারী’ যেভাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পথরুদ্ধ করেছে, তা শুধু ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে। তিনি আসিফ নজরুলকে অপদস্থ করার ভিডিওটি সুইজারল্যান্ডের সরকারের কাছে পাঠানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আইনজীবী অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, আইএলও কনভেনশনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফেরার পথে  আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসররা তার সঙ্গে অসদাচরণ করে।  আমরা জানি ইউরোপে থাকলে  মানুষ হয়। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ আর মানুষ হবে না। কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। আসিফ নজরুল এক দিনে তৈরি হয়নি। যখন কেউ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারতো না এই আসিফ নজরুলসহ কলমযোদ্ধারা তার বিরুদ্ধে লিখেছে। তারা আসিফ নজরুলকে হেনস্তা করেছে। আমি সরকারকে বলবো— এই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেবেন না।