ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের পোস্টারিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

  • Update Time : ১১:৫২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / 13

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন হলের গেটে ও দেয়ালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ছাত্রদলের পোস্টারিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান করে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল, জসীম উদ্দীন হল, সূর্যসেন হল, মুহসীন হলসহ অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও সেখানে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। মুহুর্তের মধ্যেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী একত্র হয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে, সায়েন্সের তিন হল ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় তারা ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা—একাত্তর হলে হবে না’, ‘পোস্টার মারলে দেয়ালে- দু:খ আছে কপালে’, ‘টু জিরো টু ফোর—লেজুড়বৃত্তি নো মোর’, ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা—এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ—শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা গত ১৭ জুলাই ছাত্রলীগকে হল থেকে বের করে দিয়ে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমরা সেদিনই হলের প্রভোস্টের কাছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে নিশ্চয়তা নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখছি ফের আমাদের হলে রাজনীতি ঢোকানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের কোনো অপচেষ্টা মেনে নেবো না। আমরা আবার গণরুম, গেস্টরুম চাই না। কোনো ধরনের শিক্ষার্থী নির্যাতনের রাজনীতির দিকে ফিরে যেতে চাই না।

তারা বলেন, হলের বাইরে তথা ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে কি না সেটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিনেট-সিন্ডিকেট। কিন্তু হলে ছাত্র রাজনীতি থাকবে না সেই বিষয়ে সেই জুলাইয়ে হলের শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু এখন আমরা আবারো দেখছি, হলের গেটে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এমনভাবে লাগানো হয়েছে দেখে মনে হবে এটা কোনো পার্টি অফিস। নতুন কোনো একজন শিক্ষার্থী এসে বুঝতেই পারবে না এটা আবাসিক হল নাকি পার্টি অফিস। এগুলো হলে রাজনীতি পুনরায় প্রবেশের প্রাথমিক ধাপ বলে আমরা মনে করি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের পোস্টারিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

Update Time : ১১:৫২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন হলের গেটে ও দেয়ালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ছাত্রদলের পোস্টারিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান করে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল, জসীম উদ্দীন হল, সূর্যসেন হল, মুহসীন হলসহ অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও সেখানে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। মুহুর্তের মধ্যেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী একত্র হয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে, সায়েন্সের তিন হল ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় তারা ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা—একাত্তর হলে হবে না’, ‘পোস্টার মারলে দেয়ালে- দু:খ আছে কপালে’, ‘টু জিরো টু ফোর—লেজুড়বৃত্তি নো মোর’, ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা—এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ—শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা গত ১৭ জুলাই ছাত্রলীগকে হল থেকে বের করে দিয়ে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমরা সেদিনই হলের প্রভোস্টের কাছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে নিশ্চয়তা নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখছি ফের আমাদের হলে রাজনীতি ঢোকানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের কোনো অপচেষ্টা মেনে নেবো না। আমরা আবার গণরুম, গেস্টরুম চাই না। কোনো ধরনের শিক্ষার্থী নির্যাতনের রাজনীতির দিকে ফিরে যেতে চাই না।

তারা বলেন, হলের বাইরে তথা ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে কি না সেটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিনেট-সিন্ডিকেট। কিন্তু হলে ছাত্র রাজনীতি থাকবে না সেই বিষয়ে সেই জুলাইয়ে হলের শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু এখন আমরা আবারো দেখছি, হলের গেটে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এমনভাবে লাগানো হয়েছে দেখে মনে হবে এটা কোনো পার্টি অফিস। নতুন কোনো একজন শিক্ষার্থী এসে বুঝতেই পারবে না এটা আবাসিক হল নাকি পার্টি অফিস। এগুলো হলে রাজনীতি পুনরায় প্রবেশের প্রাথমিক ধাপ বলে আমরা মনে করি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।