ঢাবিতে রমজান সম্পর্কিত আলোচনা আয়োজনের অনুমতি না দিতে প্রক্টরের চিঠি
- Update Time : ১০:২৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
- / 78
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) রমজান সম্পর্কিত কোনো আলোচনা আয়োজনের অনুমতি না দিতে হলের প্রভোস্ট, অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস।
বুধবার (২০ মার্চ) এরূপ নির্দেশনা সম্বলিত একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে যা গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) ইস্যু করা হয় । এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষর করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন, চেয়ারম্যান, প্রভোস্ট ও পরিচালক বরাবর প্রেরিত উক্ত চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি আইন বিভাগের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী পূর্ব অনুমতি না নিয়ে ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে একটি সেমিনার আয়োজনের উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়স্থ বঙ্গবন্ধু টাওয়ার ভবনে জমায়েত করে। ফলে সেখানে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে এবং আইন অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেছে। পরবর্তীতে কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিবর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
এতে বলা হয়, এমতাবস্থায় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি না দেওয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে রমজান বিষয়ক আলোচনার আয়োজন করে। সেখানে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ৬ জন গুরুতর আহত হন।
পরে আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় । সহকারী প্রক্টর, ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুল মুহিতের নেতৃত্বে কমিটিতে রয়েছেন ইলেকট্রিকাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম এল পলাশ এবং ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ইতোমধ্যে ঘটে গেছে। তদন্তকালীন অন্য কোনো অঘটন ঘটলে আমাদের কাজ কঠিন হয়ে পড়বে। এ কারণে আমরা চিঠি দিয়েছি। তবে ‘ইফতার পার্টি’ আয়োজনে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।