ঢাবিতে শিক্ষকের যৌন হয়রানির প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
- Update Time : ১০:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / 63
জাননাহ ঢাবি প্রতিনিধি
অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩তম, ১৪তম, ১৫তম, ১৬তম ও ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এসময় চেয়ারপারসনের অফিস থেকে একাধিক শিক্ষক এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সকল ধরনের যৌন সহিংসতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আজ থেকে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি।
তারা বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগকে আমরা নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষিত একটি বিভাগ হিসেবে নিশ্চিত করতে চাই। বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মানা যায় না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরবো না।
শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ৩ দফা দাবি জানান। দাবি গুলো হলো-
১. অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে;
২. যৌন নিপীড়ককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনতে হবে;
৩. তদন্ত চলাকালে বা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিরত রাখতে হবে।
পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষক নাদির জুনাইদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং তার কক্ষের দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত একটি পোস্টার ঝুলিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর প্রমাণাদি সহ যৌন হয়রানির অভিযোগপত্র দায়ের করেন একই বিভাগের একজন ছাত্রী। মূলত ওই ছাত্রীর অভিযোগের পর পরই শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
তাছাড়া কয়েক দিন আগে অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ করেন একটি ব্যাচের ২৮ জন শিক্ষার্থী। তাঁরা এ বিষয়ে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।