গবেষণায় ২৮.৫ লাখ টাকা অনুদানের জন্য নির্বাচিত নোবিপ্রবির ৮ প্রকল্প
- Update Time : ০৩:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
- / 226
এস আহমেদ ফাহিম, নোবিপ্রবি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় হতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সাড়ে ২৮ লাখ টাকা বিশেষ গবেষণা অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ৮টি গবেষণা প্রকল্প।
আজ(২৪ ডিসেম্বর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হতে এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তি হতে জানা যায়। এ বছর নির্বাচিত ৬৯৬টি গবেষণা প্রকল্পের মধ্যে নোবিপ্রবির ৮টি নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ফিমস বিভাগের ২টি,ফার্মেসী বিভাগের ১টি,কৃষি বিভাগের ১টি,বিএমবি বিভাগের ১টি,এসিসিই বিভাগের ১টি,ইএসডিএম বিভাগের ১টি এবং ওশানোগ্রাফি ১টি রয়েছে।গবেষণা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৪টিতে ৩ লাখ,৩টিতে সাড়ে ৩ লাখ এবং ১টি প্রকল্পে ৬ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন নোবিপ্রবির শিক্ষকেরা।এ গবেষণা প্রকল্পে ৮ জন প্রধান গবেষক ও ৮ জন সহকারী গবেষক হিসেবে মোট ৮ টি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করবে।
গবেষণা প্রকল্পগুলোর প্রধান গবেষকরা হলেন, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম,ফিশারিস এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান,এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.আশরাফুল আলম,ফিশারিস এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড.রাকিব উল ইসলাম,
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মো. মহিনুজ্জামান,কৃষি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মেহেদী হাসান রুবেল, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুবোধ কুমার সরকার এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুস সাকিব খান।
এছাড়া প্রকল্পগুলোর সহকারী গবেষকরা হলেন:সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামারুজ্জামান,
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রতিমা সরকার, ফিশারিস এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুন নাহার রিমা,কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. পিযুষ কান্তি ঝা,বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাহসিন নায়রোজ, ফার্মেসী বিভাগের প্রভাষক মো.আব্দুল বারেক, ফিশারিস এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক জাহানারা আক্তার লিপি এবং এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ফারিহা আফরোজ।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক প্রকল্পের গবেষণার জন্য ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান দেওয়া হয়। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়। প্রতি বছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপসহ ছয়টি গ্রুপে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ দেওয়াই এই ফেলোশিপের মূল উদ্দেশ্য।