ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করতে মানববন্ধন ঢাবি শিক্ষার্থীদের, কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি

  • Update Time : ০৩:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 107

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ধারীদের কোটা ব্যবস্থায় আনার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ ও এলজিবিটি (LGBT) আন্দোলনকে প্রমোট করে আইন এবং সংবিধান বিরোধী কাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অবিলম্বে এই কোটা বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সহ চার দফা দাবি তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে এসব দাবি উল্লেখ করে ঢাবি উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন তারা।

মানববন্ধনে উত্থাপন করা শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো-

১. অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা;
২. অতি দ্রুত এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা;
৩. হিজরা জনগোষ্ঠীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া এবং
৪. ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ধারীদের কোটা ব্যবস্থায় আনার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে প্রমোট করে আইন এবং সংবিধান বিরোধী কাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাওয়া ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদেরকে কোটার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। সেদিক থেকে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী কোটার সুযোগ পাবে এবং তাদেরকে সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে কোটার ক্ষেত্রে উল্লেখ রয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গ অথবা ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য।

মানববন্ধনকারীরা বলেন, নিজেদেরকে ট্রান্সজেন্ডার দাবি করা শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে বিকৃত করে লিঙ্গ পরিবর্তন করায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয়। যার কারণে, তাদের জন্য কোটা প্রযোজ্য নয়। এজন্যই,  ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে এই কোটা বাতিলের দাবি শিক্ষার্থীদের।

মানববন্ধনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের চার দফা অনুযায়ী যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদেরকে জন্য বিশেষ কোটার ব্যবস্থা করা যায়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজড়াদের জন্য কোটা রয়েছে, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্যও কোটা রয়েছে।  সমাজে তারাই কোটা দাবি করতে পারে, যারা সমাজে অনগ্রসর গোষ্ঠী। যারা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে বিকৃত করে অনগ্রসর সোসাইটিতে পরিনত করে, তাদেরকে কখনোই আমরা এই সাংবিধানিক সুযোগ নিতে দিবোনা। ট্রান্সজেন্ডার কালচার এলজিবিটি (LGBT) এর অন্তর্ভুক্ত। অতএব, ট্রান্সজেন্ডারকে কোটা দেওয়া মানে এলজিবিটি(LGBT) কালচারকেই প্রমোট করা বা এর প্রচার প্রসারেরই নামান্তর। 

শাখাওয়াত জাকারিয়া আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততির জন্য কোটা রয়েছে। এখানে এর সাথে যদি ট্রান্সজেন্ডার কোটাকে স্থান দেওয়া হয়, তাহলে এটা মুক্তিযুদ্ধাদের রক্তের সাথে এবং সত্যিকার অর্থেই যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদের সাথে বেঈমানী বা তাদের অধিকার সংকুচিত করারই নামান্তর।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, ট্রান্স কালচারের উৎপত্তি যে দেশে স্বয়ং সেই পশ্চিমা দেশগুলোতেই ক্ষোভের দানা বেঁধেছে। এরই প্রেক্ষিতে রাশিয়া আইন করে এলজিবিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি আইসিসিও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ট্রান্সজেন্ডারকে বিশ্ব মানবতার জন্য হুমকিস্বরূপ আখ্যা দিয়ে জাকারিয়া বলেন, এর মেইন উদ্দেশ্য হলো ফ্যামিলিকে ধ্বংস করে দেওয়া। আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি পুরোটাই ফ্যামিলি বেইজড। যেই সংস্কৃতি আমাদের ফ্যামিলি প্রথাকে নষ্ট করে সেই সংস্কৃতি আমরা প্রচার করতে দিবোনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে আমরা এটা সহ্য করতে পারিনা।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ট্রান্সদের মতো বিকৃত মস্তিষ্ক ধারীদের কোটা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হাসির পাত্রে পরিণত করা হয়েছে। সারাদেশের মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে তামাশা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজর দিলে দেখা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত কতটা উপহাসের বিষয় হিসেবে নিয়েছে। 

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যই মূলত কোটা সিস্টেম। এক্ষেত্রে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের যারা আছেন তাদের জন্য এটা যুক্তিযুক্ত। তাদের দৈহিক গঠনে তাদের কোন হাত নেই, বরং সেটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। পরিস্থিতি বিবেচনা করলেও দেখা যায়, তারা আসলেই সুবিধা বঞ্চিত এবং অনগ্রসর। কিন্তু, ট্রান্সজেন্ডার দাবি করাদের কোটা প্রদান অযৌক্তিক।

তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাস্তবায়ন হলে আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন হবে। কারণ, একজন ছেলে মানসিকভাবে যখন নিজেকে মেয়ে ও ট্রান্স নারী দাবি করবে তখন তাকে মেয়েদের হলে সীট দেওয়া হলে মেয়েদেরকে তাদের সাথে বেড বা রুম শেয়ার করতে হবে। এটা কখনোই সম্ভব নয়। তাদের সামনে নামাজ পড়লে নামাজেও সমস্যা হবে। 

উল্লেখ্য, এ বছরের ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ভর্তি পরীক্ষায় ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটা সংযোজনের দাবি তোলা হয়। সভা সূত্রে জানা যায়, কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপারসন তাওহিদা জাহান এ কোটা যুক্ত করার প্রস্তাব তোলেন। পরে তৎকালীন উপাচার্যের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করতে মানববন্ধন ঢাবি শিক্ষার্থীদের, কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি

Update Time : ০৩:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ধারীদের কোটা ব্যবস্থায় আনার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ ও এলজিবিটি (LGBT) আন্দোলনকে প্রমোট করে আইন এবং সংবিধান বিরোধী কাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অবিলম্বে এই কোটা বাতিল করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সহ চার দফা দাবি তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে এসব দাবি উল্লেখ করে ঢাবি উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন তারা।

মানববন্ধনে উত্থাপন করা শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো-

১. অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা;
২. অতি দ্রুত এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা;
৩. হিজরা জনগোষ্ঠীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া এবং
৪. ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ধারীদের কোটা ব্যবস্থায় আনার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে প্রমোট করে আইন এবং সংবিধান বিরোধী কাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাওয়া ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদেরকে কোটার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। সেদিক থেকে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী কোটার সুযোগ পাবে এবং তাদেরকে সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে কোটার ক্ষেত্রে উল্লেখ রয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গ অথবা ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য।

মানববন্ধনকারীরা বলেন, নিজেদেরকে ট্রান্সজেন্ডার দাবি করা শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে বিকৃত করে লিঙ্গ পরিবর্তন করায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয়। যার কারণে, তাদের জন্য কোটা প্রযোজ্য নয়। এজন্যই,  ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে এই কোটা বাতিলের দাবি শিক্ষার্থীদের।

মানববন্ধনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের চার দফা অনুযায়ী যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদেরকে জন্য বিশেষ কোটার ব্যবস্থা করা যায়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজড়াদের জন্য কোটা রয়েছে, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্যও কোটা রয়েছে।  সমাজে তারাই কোটা দাবি করতে পারে, যারা সমাজে অনগ্রসর গোষ্ঠী। যারা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে বিকৃত করে অনগ্রসর সোসাইটিতে পরিনত করে, তাদেরকে কখনোই আমরা এই সাংবিধানিক সুযোগ নিতে দিবোনা। ট্রান্সজেন্ডার কালচার এলজিবিটি (LGBT) এর অন্তর্ভুক্ত। অতএব, ট্রান্সজেন্ডারকে কোটা দেওয়া মানে এলজিবিটি(LGBT) কালচারকেই প্রমোট করা বা এর প্রচার প্রসারেরই নামান্তর। 

শাখাওয়াত জাকারিয়া আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততির জন্য কোটা রয়েছে। এখানে এর সাথে যদি ট্রান্সজেন্ডার কোটাকে স্থান দেওয়া হয়, তাহলে এটা মুক্তিযুদ্ধাদের রক্তের সাথে এবং সত্যিকার অর্থেই যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তাদের সাথে বেঈমানী বা তাদের অধিকার সংকুচিত করারই নামান্তর।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, ট্রান্স কালচারের উৎপত্তি যে দেশে স্বয়ং সেই পশ্চিমা দেশগুলোতেই ক্ষোভের দানা বেঁধেছে। এরই প্রেক্ষিতে রাশিয়া আইন করে এলজিবিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি আইসিসিও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ট্রান্সজেন্ডারকে বিশ্ব মানবতার জন্য হুমকিস্বরূপ আখ্যা দিয়ে জাকারিয়া বলেন, এর মেইন উদ্দেশ্য হলো ফ্যামিলিকে ধ্বংস করে দেওয়া। আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি পুরোটাই ফ্যামিলি বেইজড। যেই সংস্কৃতি আমাদের ফ্যামিলি প্রথাকে নষ্ট করে সেই সংস্কৃতি আমরা প্রচার করতে দিবোনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে আমরা এটা সহ্য করতে পারিনা।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ট্রান্সদের মতো বিকৃত মস্তিষ্ক ধারীদের কোটা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হাসির পাত্রে পরিণত করা হয়েছে। সারাদেশের মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে তামাশা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজর দিলে দেখা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত কতটা উপহাসের বিষয় হিসেবে নিয়েছে। 

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যই মূলত কোটা সিস্টেম। এক্ষেত্রে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের যারা আছেন তাদের জন্য এটা যুক্তিযুক্ত। তাদের দৈহিক গঠনে তাদের কোন হাত নেই, বরং সেটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। পরিস্থিতি বিবেচনা করলেও দেখা যায়, তারা আসলেই সুবিধা বঞ্চিত এবং অনগ্রসর। কিন্তু, ট্রান্সজেন্ডার দাবি করাদের কোটা প্রদান অযৌক্তিক।

তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাস্তবায়ন হলে আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা হুমকির সম্মুখীন হবে। কারণ, একজন ছেলে মানসিকভাবে যখন নিজেকে মেয়ে ও ট্রান্স নারী দাবি করবে তখন তাকে মেয়েদের হলে সীট দেওয়া হলে মেয়েদেরকে তাদের সাথে বেড বা রুম শেয়ার করতে হবে। এটা কখনোই সম্ভব নয়। তাদের সামনে নামাজ পড়লে নামাজেও সমস্যা হবে। 

উল্লেখ্য, এ বছরের ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ভর্তি পরীক্ষায় ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটা সংযোজনের দাবি তোলা হয়। সভা সূত্রে জানা যায়, কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপারসন তাওহিদা জাহান এ কোটা যুক্ত করার প্রস্তাব তোলেন। পরে তৎকালীন উপাচার্যের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।