বিজয় দিবসের খাবার বিতরণ নিয়ে কুবির হলে বাকবিতন্ডতা

  • Update Time : ০৫:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 369

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে হল প্রশাসন কর্তৃক খাবার বিতরণের সময় টুকেন সংকট নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে হল ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দু’পক্ষ। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, খাবার বিতরণের দার্য়ীত্ব দেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হোসাইন মাসুমকে। খাবার বিতরণের সময় টুকেন না পাওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী ব্যবস্থাপনায় যারা ছিল তাদেরকে প্রশ্ন করে। এ ঘটনা নিয়ে হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং মাসুম গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডতা শুরু হয়। তখন দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমান উভয় পক্ষকে তার রুমে ডেকে নিয়ে যায়। উভয় পক্ষের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইমাম হোসাইন মাসুম গরম হয়ে রবিন চন্দ্র দাসকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে পড়ে।

এবিষয়ে ইমাম হোসাইন মাসুম বলেন, স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। স্যার আমাকে টুকেন দিয়েছে ১৫০ টা, সে অনুযায়ী আমি প্রত্যেক রুমে রুমে গিয়ে দেখে টিকেট দিয়েছি। আর কিছু শিক্ষার্থী টুকেন পায় নাই। আমি তাদের লিস্ট স্যারের কাছে দিয়েছি। রবি চন্দ্র দাসকে কে ধাক্কা মারার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন ধাক্কা মারি নাই, তারা আজেবাজে কথা বলায় আমি রুম থেকে বের হয়ে যায়। ওই সময় রুমের দরজা বন্ধ ছিল দরজা খোলার সময় হয়ত ধাক্কা লেগেছে।

রবি চন্দ্র দাস বলেন, খাবার বিতরণের সময় ডাইনিং বয় দশটা খাবার নিয়ে হলের দ্বিতীয় তলার দিকে গেলে আমি তাকে নিয়ে আবার ডাইনিং রুমে চলে যায়। তখন মেজবাহ উল হক শান্ত ভাই বলে এখন এত নেতা কোথায় থেকে আসলো, মিছিল প্রোগ্রামের সময় তো কাউকে পাওয়া যায় না। তখন আমি বলি ভাই এটা তো কোন প্রোগ্রাম বা রাজনৈতিক খাবার না। তখন ওদের সবাই আমার উপর চড়াও হল। ওখানে তর্কাতর্কি হলে শেষে স্যার আমাদের রুমে ডেকে নেন। ওখানে কথাবার্তার একপর্যায়ে মাসুম আমাকে বুকে ধাক্কা দিয়ে বের হয়ে যায়। চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারেন। স্যারের সামনে আমার এত বড় অপমান কিন্তু স্যার কিছু করে নাই। স্যার আমাকে একটা অভিযোগ পত্র দিতে বলছে।

হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমার কাছে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসাবে ১১৪ জনের লিস্ট আছে। আর কিছু শিক্ষার্থী আবাসিকতা এখনো গ্রহণ করে নাই। সর্বমোট একশত পঞ্চাশ জনের বেশি হবে না। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার আনছি। তবুও এখানে খাবার বিতরণে একটা অব্যবস্থাপনা দেখেছি আমি। আমি একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বিজয় দিবসের খাবার বিতরণ নিয়ে কুবির হলে বাকবিতন্ডতা

Update Time : ০৫:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে হল প্রশাসন কর্তৃক খাবার বিতরণের সময় টুকেন সংকট নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে হল ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দু’পক্ষ। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, খাবার বিতরণের দার্য়ীত্ব দেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হোসাইন মাসুমকে। খাবার বিতরণের সময় টুকেন না পাওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী ব্যবস্থাপনায় যারা ছিল তাদেরকে প্রশ্ন করে। এ ঘটনা নিয়ে হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং মাসুম গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডতা শুরু হয়। তখন দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমান উভয় পক্ষকে তার রুমে ডেকে নিয়ে যায়। উভয় পক্ষের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইমাম হোসাইন মাসুম গরম হয়ে রবিন চন্দ্র দাসকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে পড়ে।

এবিষয়ে ইমাম হোসাইন মাসুম বলেন, স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। স্যার আমাকে টুকেন দিয়েছে ১৫০ টা, সে অনুযায়ী আমি প্রত্যেক রুমে রুমে গিয়ে দেখে টিকেট দিয়েছি। আর কিছু শিক্ষার্থী টুকেন পায় নাই। আমি তাদের লিস্ট স্যারের কাছে দিয়েছি। রবি চন্দ্র দাসকে কে ধাক্কা মারার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন ধাক্কা মারি নাই, তারা আজেবাজে কথা বলায় আমি রুম থেকে বের হয়ে যায়। ওই সময় রুমের দরজা বন্ধ ছিল দরজা খোলার সময় হয়ত ধাক্কা লেগেছে।

রবি চন্দ্র দাস বলেন, খাবার বিতরণের সময় ডাইনিং বয় দশটা খাবার নিয়ে হলের দ্বিতীয় তলার দিকে গেলে আমি তাকে নিয়ে আবার ডাইনিং রুমে চলে যায়। তখন মেজবাহ উল হক শান্ত ভাই বলে এখন এত নেতা কোথায় থেকে আসলো, মিছিল প্রোগ্রামের সময় তো কাউকে পাওয়া যায় না। তখন আমি বলি ভাই এটা তো কোন প্রোগ্রাম বা রাজনৈতিক খাবার না। তখন ওদের সবাই আমার উপর চড়াও হল। ওখানে তর্কাতর্কি হলে শেষে স্যার আমাদের রুমে ডেকে নেন। ওখানে কথাবার্তার একপর্যায়ে মাসুম আমাকে বুকে ধাক্কা দিয়ে বের হয়ে যায়। চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারেন। স্যারের সামনে আমার এত বড় অপমান কিন্তু স্যার কিছু করে নাই। স্যার আমাকে একটা অভিযোগ পত্র দিতে বলছে।

হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমার কাছে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসাবে ১১৪ জনের লিস্ট আছে। আর কিছু শিক্ষার্থী আবাসিকতা এখনো গ্রহণ করে নাই। সর্বমোট একশত পঞ্চাশ জনের বেশি হবে না। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার আনছি। তবুও এখানে খাবার বিতরণে একটা অব্যবস্থাপনা দেখেছি আমি। আমি একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।