যথাযথ মর্যাদায় যবিপ্রবির শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
- Update Time : ০৭:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
- / 121
মোস্তফা গালিব (যবিপ্রবি প্রতিনিধি)
যশোর শহরস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বুদ্ধিজীবীদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাতসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৩ পালন করেছে।
যবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় সূর্যোদয়ক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে। দিবসটি উপলক্ষে যবিপ্রবি পরিবারের সদস্যরা কালোব্যাজও ধারণ করেন।
সকাল ৯টায় যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের পক্ষ থেকে যশোর শহরস্থ শংকপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, কর্মচারী সমিতি, শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নীল-নকশা নিয়ে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, বিজয় অর্জনের পরও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে না পারে, এ জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। যারা এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি কিছুটা হলেও কলঙ্ক মুক্ত হয়েছে। বাকিদের বিচার সমাপ্ত হলে জাতি পুরোপুরি কলঙ্ক মুক্ত হবে।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আলম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. মুনিবুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সামিউল আলম। এ ছাড়া কর্মসূচিগুলোতে যবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, দপ্তর প্রধানগণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম।