যবিপ্রবিতে ‘মানবাধিকার: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

  • Update Time : ০৩:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 221

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘মানবাধিকার: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা বাংলাদেশ ও বিশ্বের মানবাধিকার নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে (১০ ডিসেম্বর) রবিবার ‘ক্যাপ যবিপ্রবি ও নীল দল, যবিপ্রবি’ এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। তিনি বলেন, আজকে বিশ্বে মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু সেটি একেক অঞ্চলের জন্য একেক রকম। যেটি কখনোই উচিত নয়।মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার গোষ্ঠীগুলো সব সময় দ্বিচারিতার ভূমিকায় অবতীর্ণ। যখন জাতিসংঘ বলছে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ বিরতি করতে হবে। তখন এ গোষ্ঠীগুলো বিশে^র বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তারাই আবার আমাদের মানবাধিকার শেখায়।

সেমিনারে যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, আজকে আমেরিকা আমাদের মানবাধিকার শেখায়। যখন ফিলিস্তিনে নারী-শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়, তখন তারা বিবৃতি দিয়ে বলছে এটা ইসরাইলের অধিকার। এটা কেমন মানবাধিকার! এ দেশে একটি রাজনৈতিক দল রাজনীতির নামে গাড়ি পোড়াচ্ছে, ভাঙচুর করছে, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। স্বাভাবিক নিয়মেই তখন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আমেরিকা বলছে, গ্রেপ্তার করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করছে না।

সেমিনারে যবিপ্রবির ক্যাপের মুখপাত্র ডঃ হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার। দলটি মানবাধিকার সুরক্ষার মধ্যে অন্তর্নিহিত যোগসূত্রকে স্বীকৃতি দেয়। মানবাধিকারের প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও নীতিগত পদক্ষেপে। দলটি নারী ও শিশুদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, শিশু শ্রম, এবং জাতিগত বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের মতো সমস্যাগুলিকে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী সমাজ তৈরি করার জন্য জোর দেয়, যেখানে প্রতিটি নাগরিক মৌলিক স্বাধীনতা উপভোগ করে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক অন্যায় ও নৃশংসতার মোকাবিলা করতে চেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার দলটির মানবাধিকার এজেন্ডার একটি উল্লেখযোগ্য দিক। অভিযুক্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে যুদ্ধাপরাধ মোকাবেলায় একটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে অতীতের সত্যতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য নির্ভীক প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।

যবিপ্রবি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে যবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার পরিচালনা করেন যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


যবিপ্রবিতে ‘মানবাধিকার: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৩:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘মানবাধিকার: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা বাংলাদেশ ও বিশ্বের মানবাধিকার নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে (১০ ডিসেম্বর) রবিবার ‘ক্যাপ যবিপ্রবি ও নীল দল, যবিপ্রবি’ এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। তিনি বলেন, আজকে বিশ্বে মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু সেটি একেক অঞ্চলের জন্য একেক রকম। যেটি কখনোই উচিত নয়।মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার গোষ্ঠীগুলো সব সময় দ্বিচারিতার ভূমিকায় অবতীর্ণ। যখন জাতিসংঘ বলছে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ বিরতি করতে হবে। তখন এ গোষ্ঠীগুলো বিশে^র বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তারাই আবার আমাদের মানবাধিকার শেখায়।

সেমিনারে যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, আজকে আমেরিকা আমাদের মানবাধিকার শেখায়। যখন ফিলিস্তিনে নারী-শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়, তখন তারা বিবৃতি দিয়ে বলছে এটা ইসরাইলের অধিকার। এটা কেমন মানবাধিকার! এ দেশে একটি রাজনৈতিক দল রাজনীতির নামে গাড়ি পোড়াচ্ছে, ভাঙচুর করছে, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। স্বাভাবিক নিয়মেই তখন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আমেরিকা বলছে, গ্রেপ্তার করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করছে না।

সেমিনারে যবিপ্রবির ক্যাপের মুখপাত্র ডঃ হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার। দলটি মানবাধিকার সুরক্ষার মধ্যে অন্তর্নিহিত যোগসূত্রকে স্বীকৃতি দেয়। মানবাধিকারের প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও নীতিগত পদক্ষেপে। দলটি নারী ও শিশুদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, শিশু শ্রম, এবং জাতিগত বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের মতো সমস্যাগুলিকে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী সমাজ তৈরি করার জন্য জোর দেয়, যেখানে প্রতিটি নাগরিক মৌলিক স্বাধীনতা উপভোগ করে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক অন্যায় ও নৃশংসতার মোকাবিলা করতে চেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার দলটির মানবাধিকার এজেন্ডার একটি উল্লেখযোগ্য দিক। অভিযুক্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে যুদ্ধাপরাধ মোকাবেলায় একটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে অতীতের সত্যতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য নির্ভীক প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।

যবিপ্রবি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে যবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনার পরিচালনা করেন যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ।