নিজেকে নির্দোষ দাবি ঢাবি অধ্যাপক নুরুল ইসলামের

  • Update Time : ০৪:০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 113

জাননাহ,ঢাবি প্রতিনিধি

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম ।

সোমবার(৪ ডিসেম্বর) মিথ্যা অপবাদ, কুৎসা রটনা ও মানহানির বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি এ দাবি করেন।

প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, ‘গত ২৮/১১/২০২৩ থেকে ২/১২/২০২৩ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করা এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক টানা কর্মব্যস্ততায় সাংবাদিক বন্ধুগণ আমার সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ পাননি। একটি মহল এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিক বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুগণের মাধ্যমে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল মহলের কাছে আমার অনুরোধ, অসত্য অভিযোগ দিয়ে এদেশের শিক্ষার বাতিঘর সম্মানিত শিক্ষকগণকে যেন হেনস্তার শিকার হতে না হয়, সে ব্যাপার সৎ, নিরেপক্ষ ও সাহসী ভূমিকা রাখবেন। আমার অনুপস্থিতির সুযোগে মিথ্যা অপবাদ ও হেনস্তার বিরুদ্ধে জাতির দর্পণ সাংবাদিক বন্ধুদের সৎ, নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিজ কক্ষে ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী গত মঙ্গলবার ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেন।

পরে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় তিন সদস্যের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি(তদন্ত কমিটি) গঠন করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নিজেকে নির্দোষ দাবি ঢাবি অধ্যাপক নুরুল ইসলামের

Update Time : ০৪:০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

জাননাহ,ঢাবি প্রতিনিধি

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম ।

সোমবার(৪ ডিসেম্বর) মিথ্যা অপবাদ, কুৎসা রটনা ও মানহানির বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি এ দাবি করেন।

প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, ‘গত ২৮/১১/২০২৩ থেকে ২/১২/২০২৩ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করা এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক টানা কর্মব্যস্ততায় সাংবাদিক বন্ধুগণ আমার সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ পাননি। একটি মহল এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিক বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুগণের মাধ্যমে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল মহলের কাছে আমার অনুরোধ, অসত্য অভিযোগ দিয়ে এদেশের শিক্ষার বাতিঘর সম্মানিত শিক্ষকগণকে যেন হেনস্তার শিকার হতে না হয়, সে ব্যাপার সৎ, নিরেপক্ষ ও সাহসী ভূমিকা রাখবেন। আমার অনুপস্থিতির সুযোগে মিথ্যা অপবাদ ও হেনস্তার বিরুদ্ধে জাতির দর্পণ সাংবাদিক বন্ধুদের সৎ, নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিজ কক্ষে ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী গত মঙ্গলবার ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেন।

পরে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় তিন সদস্যের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি(তদন্ত কমিটি) গঠন করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ ।